বিয়ের পর যে কোনও মানুষের জীবনেই প্রচুর পরিবর্তন আসে। তবে একথা ঠিক, একজন মেয়ের জীবনে সেই পরিবর্তনের সংখ্যা অনেক বেশি। শুরুটা নিজের বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ি যাওয়া থেকে শুরু হয়, এরপর ধীরে ধীরে আসতে থাকে আরও অনেক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জন্যই অনেক সময় ধূলিসাৎ হয়ে যায় অনেক মেয়ের স্বপ্ন। ঠিক যেমনটা হয়েছে নামী টেলি অভিনেত্রী সানন্দা বসাকের (Sananda Basak) সঙ্গে।
বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচত মুখ হলেন সানন্দা। বহু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন দর্শকরা। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ থেকে শুরু করে ‘জয়ী’ হয়ে ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ সানন্দা কাজ করেছেন বহু জনপ্রিয় সিরিয়ালে। তবে এখন আর তাঁকে সেভাবে পর্দায় দেখা যায় না।
মেয়ের জন্মের পর করোনা পরিস্থিতিতে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানন্দা। তবে সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ১’এর (Didi No. 1) মঞ্চে এসে অভিনেত্রী জানান, আসলে বিয়ের পরই তাঁর সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে! রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো’য়ে এসে বিয়ের পর নিজের জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
আসলে বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকের মনেই একটা স্বপ্ন থাকে। কিন্তু বিয়ের এক মাস হতে না হতেই সানন্দার জীবনের সম্পূর্ণ চিত্রটাই বদলে গিয়েছিল। ঠিক কী হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে? রচনার শো’য়ে এসে সেই ঘটনাই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।
সানন্দার কথায়, ‘কত কত স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বিয়ের এক মাস হতে না হতেই আমি জানতে পারি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছি। আমার বন্ধুরা যেখানে বিয়ের এক বছর বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছিল, আমি সেখানে নিজের বাচ্চা বড় করছি। খুব রাগ হতো। সিরিয়াল করতে গিয়েই আমার স্বামীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। মাঝেমধ্যেই ওঁকে রাগ দেখাই’।
আসলে বিয়ের পর সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিল যে নিজের অনেক শখ পূরণই করতে পারেননি সানন্দা। মনের মধ্যে জমে থাকা সেই ক্ষোভই মজার ছলে ‘দিদি নম্বর ১’এ এসে উগড়ে দেন অভিনেত্রী। তবে মেয়ে এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। মা-মেয়ে এখন দুই বন্ধু। নিজের মতো করে সংসারও গুছিয়ে নিয়েছেন সানন্দা। একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এখন মন দিয়েছেন শাড়ি-গয়নার ব্যবসায়।