বলিউড জগতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন গোবিন্দা (Govinda)। তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। গোবিন্দার মেয়ের নাম টিনা আহুজা (Tina ahuja)। সেও বলিউড জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর মেয়ে টিনা আহুজাও তার বাবার মতোই একই পেশাই বেঁচে নিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে টিনা জানান যে, ‘তিনি অনেক আগেই অনুভব করেছিলেন এই জগতে আসার।
তবে, প্রথমে তিনি ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি। কিন্তু তারপর লন্ডন ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর ২০১৫ সালে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাজবেন্ড’ ছবি দিয়ে তিনি বলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
একবার একটি সাক্ষাৎকরে তাঁকে তাঁর বাবা অর্থাৎ গোবিন্দা কিভাবে পরামর্শ দেন সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে টিনা বলেন যে, তিনি আমাকে বলেছেন যে, সবসময় আমার সেরাটা দিতে। মজা করে কাজ করতে। আর বাকিটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে। টিনা তার বাবার সম্পর্কে আরও বলেন যে, তিনি বলেছেন জীবনে এমন কাজ কখনও করো না যার জন্য তোমাকে আফসোস করতে না হয়।
এছাড়া আরও বলেন যে, কখনও তোমার মনে হতে পারে এটা ঠিক বা হয়তো ঠিক না তখন তুমি তোমার বেস্ট টা দেবে। তুমি কখনই তার জন্য দোষী মনে করবে না নিজেকে এমনকি তাঁর সম্পর্কে বাজে ভাববে না। এমনকি সেটা হল সবচেয়ে ভালো পরামর্শ যেটা আমার বাবা আমায় দিয়েছে। আর আমিও সেই মতোই নিজের কাজের প্রতি মনোনিবেশ করি। আর বাকিটা ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দি।
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হলে যে, গোবিন্দা তাঁকে সাহায্য করেছে কিনা কাজ পেতে। সেই উত্তরে টিনা আহুজা বলেন যে, তেমনটাই যদি হতো তাহলে ইতিমধ্যেই আমি ৩০-৪০ টা ছবিতে স্বাক্ষর করতে পারতাম। আমি এখনও অবধি যেকটা ছবিতে কাজ করেছি সেটা আমি আমার যোগ্যতার সঙ্গেই পেয়েছি। আমাকে সিনেমা পেতে আমার বাবা কোনোদিনই সাহায্য করেননি। আমি কি করছি না করছি সেই সম্পর্কে বাবার যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। তবে, তাই বলে এই নয় যে, তিনি আমার কাজে হস্তক্ষেপ করেন। বাবা কখনোই আমাকে ছবি পাওয়ানোর জন্য কাউকে ডাকেনি। আর সেই কারণেই আমাকে কোনোভাবেই নেপকিড বলা যায় না।