সুন্দর মুখশ্রী, উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক (Glowing & Soft Skin) সকলেই পেতে চান। তবে আজকালকার দিনে রূপচর্চা মানেই দামি দামি সমস্ত ক্রিম আর কেমিক্যাল। এতে সাময়িকভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলেও আদতে লাভ কতদূর হয় সে ব্যাপারে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। অথচ ঠাকুমা দিদিমাদের সময়ে এত ক্রিম বা বিউটি প্রোডাক্টস চাই দিব্যি সুন্দর থাকতেন তাঁরা। আজ পুরোনো দিনের সেই রূপচর্চার (beauty care) উপাদান সম্পর্কেই আপনাদের যে জানাবো।
নামি ব্রান্ডের ক্রিমগুলিও বর্তমানে ভেষজ উপাদানের ব্যবহারের কথা বারবার উল্লেখ করে। আর এই ভেষজ উপাদানগুলিই ব্যবহার করতেন আমাদের ঠাকুমা দিদিমার। তাই কোনো ক্রিম ছাড়াই দিব্যি সৌন্দর্য বজায় থাকত তাদের। অবশ্য তখনকার দিনে এখনের মত এত দূষণ ছিল না চারিদিকে। তবে আদ্যিকালের এই রূপচর্চার উপাদানগুলি আজও একইরকমভাবে কাজ করে।
১. হলুদ (turmeric)
রান্না ঘর থেকে রূপচর্চা সেই আদ্যিকাল থেকে মানুষের জীবনে হলুদের ব্যবহার হয়েই চলেছে। বলতে গেলে কয়েক শতাব্দী ধরেই হলুদকে দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ বানিয়ে ফেলেছি আমরা। এই হলুদে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা, তাই এটা দিয়েই রূপচর্চা করা যায়। মুখের ব্রণ হোক বা কালো দাগ হলুদ গুঁড়ো, মধু ও চন্দনের সাথে মাস্কের মত মুখে ব্যবহার করলে মুখ উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত হবেই হবে।
২. মুলতানি মাটি (Multani Mitti)
মুলতানি মাটি নামটা অনেকের কাছে চেনা। রূপচর্চায় এর গুরুত্ব রয়েছে অনেক। এই মাটির মুলতানি নাম এসেছে পাকিস্তানের মুলতান শহর থেকে। সেখান থেকেই এই মাটি আনা হয়। দেখে মাটি মনে হলেও খনিজ পদার্থে ভরপুর এই মুলতানি মাটি। যা মুখের ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস থেকে ব্রণ দুর করতে অব্যর্থভাবে কাজ করে। এমনকি ফেসওয়াশের বদলে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যায়।
৩. নিম (Neem)
নিম হল এমন একটা গাছ যার আগা থেকে গোড়া সবটাই মানুষের উপকারে লাগে। নিম দিয়েই চর্মরোগের সমাধান থেকে শুরু করে রূপচর্চা চলে আসছে কয়েক শতাব্দীরও আগে থেকে। নিমের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী রয়েছে যা ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী। তাছাড়া প্রাকৃতিক হবার সুবাদে নিমের কোনোরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই।
৪. অ্যালোভেরা (Aloevera)
রূপচর্চা হোক বা ত্বকের যত্ন অ্যালোভেরা আজও মানুষের প্রথম পছন্দ। অনেকে বাড়িতে এই গাছের চাষও করে থাকেন। এই অ্যালোভেরার ভেতরে থাকা জেলের মত অংশ দারুন উপকারী। শীতকালে ময়েশ্চরাইজার হিসাবে ব্যবহার করা যায়, যা শুষ্ক তত্বকে ম্যাজিকের মত কাজ করে। আবার ব্রণ থেকে মুখের দাগ মিলিয়ে দিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়।