মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষা (Education)। যেকোনো মানুষের জীবনে আগে এগিয়ে চলা ও সঠিকভাবে জীবন নির্বাহ করার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তাই সাধারণ মানুষের শিক্ষার গুরুদায়িত্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের (Teacher) কাঁধে তুলে দিয়েছে সরকার। ছোট থেকেই বাচ্চারা স্কুলে যায় শিক্ষা লেভার জন্য। কিন্তু কি হবে যদি শিক্ষা দেবার শিক্ষক শিক্ষিকারাই ভুলে যান শিক্ষার পাঠ!
এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিনই হাজারো ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়ে পড়ে। কখনো হাসি মজা তো কখনো গম্বীর নানা বিষয়ের এই ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওতে এক শিক্ষিকাকে দেখা যাচ্ছে যিনি সরকারি স্কুলে স্বল্প সংখ্যক কিছু পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন। সেই স্কুলেই এক সাংবাদিক প্রবেশ করেছেন কেমন পড়াশোনা হচ্ছে সেটা দেখার জন্য।
কিন্তু স্কুলে প্রবেশ করে খোঁজ নিতেই দেখা মিলল বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থার। স্কুলের ক্লাসরুমে দেখা গেল গুটি কয়েক ছাত্রছাত্রীকে। দিদিমণিকে জিজ্ঞাসা করে প্রথমে জানা গেল পঞ্চম শ্রেণী, যদিও পরমুহূর্তেই জানা গেল একসাথে রয়েছে একাধিক ক্লাস। কিন্তু কেন এমনটা হল? এর উত্তরে দিদিমণি জানিয়েছেন মাত্র দুজন রয়েছেন তাই এমন করতে হচ্ছে। ট্রেনিংয়েও নাকি এমনটাই সেখান হয়েছে।
এরপর দেখা যাচ্ছে স্কুলের ব্ল্যাক বোর্ডে সপ্তাহের সাত দিন লেখা রয়েছে ইংরেজিতে। যা দেখে মহিলা রিপোর্টার বাচ্চাদের সপ্তাহের সাত দিনের নাম জিজ্ঞাসা করেন। যাও বা একজন বলতে পারল সে রবি, সোম মঙ্গলের পর সোজা বৃহস্পতিবারে চলে গেছে। কে শিখিয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁরা বলছে দিদিমণি শিখিয়েছে। এরপর দিদিমণির কাছেই করা হয়েছে প্রশ্ন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে এর উত্তর ঠিক দিলেও ভারতের রাজধানী জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন ‘ভারত’।
একজন শিক্ষিকা হয়ে কিভাবে দেশের রাজধানীর নাম ভুল বলেন তিনি! স্বাভাবিকভাবেই দিদিমণির এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর অপরকে ক্ষুদ্ধ হয়ে যান ওই সাংবাদিক। তিনি স্পষ্টতই বলেছেন শিক্ষার মান যে কতটা ভালো সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। গোটা রিপোর্টিংয়ের ভিডিওটি বেশ পুরোনো হলেও সম্প্রতি আবারো ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আর ভিডিও দেখে দর্শকদের মনে একটাই প্রশ্ন বারেবারে জাগছে সেটা হল সত্যিই শিক্ষার হাল কেমন স্কুলে!