সিনেমায় নায়ক নায়িকাকে দেখেই ধুপ করে প্রেমে পড়ে যায়, এই ঘটনা আকছার ঘটছে। কিন্তু বাস্তব জীবনে ঠিক উল্টোটা ঘটেছিল টলি পাড়ার সুন্দরী অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়ের (Sayanytika banerjee)। তবে যখনকার কথা হচ্ছে, তখন এসব খ্যাতি, যশ, জনপ্রিয়তার লাইম লাইট থেকে অনেক দূরে অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হয়েছিল সেই সময় বাংলা সিনেমায় সদ্য অভিষেক করা এক আনকোরা নায়ককে দেখে। জানিয়ে রাখি, সেই নায়ক এখন টলিউডের সুপারস্টার অভিনেতা জিৎ (Jeet)।
আজ অভিনেতার জন্মদিনে ছোটবেলার ক্রাশকে মনের কথা জানালেন সায়ন্তিকা। সায়ন্তিকা তখন স্কুলে পড়েন, হঠাৎ জানতে পারেন ‘সাথী’ নামে নতুন এক নায়কের সিনেমা আসছে। বাবা মাকে রাজি করিয়ে সিনেমা হলে ছুটেছিলেন অভিনেত্রী। নাহ সেই সময় ছিলনা মাল্টিপ্লেক্সের রমরমা, ছিলনা হট চকোলেট, পপকর্ণ কিংবা কফির মিষ্টি গন্ধ। কাঠের শক্ত চেয়ারে বসে পর্দায় প্রথমবার জিৎ দা’কে দেখতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা।
তবে সেই পর্দায় দেখা ক্রাশেরই একদিন নায়িকা হওয়ার মত ভাগ্য কজনেরই বা থাকে? এরপর ২০১২ সালে সেই স্কুলগার্ল-ও প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। সুযোগ হল সুপারস্টার জিৎ- এর বিপরীতে আওয়ারা ছবিতে নায়িকা হওয়ার৷ তার আগে কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন সায়ন্তিকা, কিন্তু প্রিয় নায়কের বিপরীতে অভিনয়, ভাবলে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসত অভিনেত্রীর। সায়ন্তিকার কথায়, “পরে জেনেছিলাম, জিৎ-দাই নাকি আমাকে এই ছবিতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এই ছবি আমায় নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছে। ওর কাছে আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”
সেই একবার দেখে প্রেমে পড়ে যাওয়া ছেলেটারই নায়িকা হওয়ার অভিজ্ঞতা আজও সায়ন্তিকার কাছে খুব স্পেশাল। অভিনেত্রী জানান, জিৎ কেবল তার সহ অভিনেতা নন, খুব ভালো একজন বন্ধুও৷ জন্মদিনে জিৎ এর সম্পর্কে বলতে গিয়ে সায়ন্তিকা জানান, “আমার কাছে জিৎ-দা আর প্রেম সমার্থক। সেই কবে থেকে এই মানুষটাকে ভালবাসছি। এখনও ভালবাসি, ভবিষ্যতেও ভালবাসব।”
কখনও কখনও তো জিতকে বলেই ফেলেন সায়ন্তিকা, ‘জিৎ-দা আমি তোমাকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ। তোমায় যদি বিয়ে করতে পারতাম!’ সেই সময় স্বভাবোচিত ভঙ্গিয়ে জিত সায়ন্তিকার কথা শুনে হাসেন, তারপর অভিনেত্রীর পিঠে স্নেহের হাত রেখে বলে, ‘আই লাভ ইউ টু বাবু’। আজ ৪৩ বছরে পা রাখলেন অভিনেতা।