যতদিন যাচ্ছে ততই প্রযুক্তি আর উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে মানুষ। আর প্রযুক্তির সাথে সাথে বাড়ছে দূষণ, গাড়ি কলকারখানা এই সমস্ত কিছু থেকে বেড়ানো ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশ ও বিশেষত বায়ু দূষিত করে দিচ্ছে যেটা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই খারাপ। তাই বিগত কয়েক দশক ধরে মানুষ নিজের এই ভুল শোধরানোর প্রচেষ্টা করে চলেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকার ও পরিবেশবিদরা বর্তমানে বেশি করে বৃক্ষরোপন করার জন্য সচেতন করছেন।
অনেকেই এই বৃক্ষরোপণ নিয়ে কাজও করছেন। কেউ নিজের বাড়ি থেকেই শুরু করেছেন গাছ লাগানো তো কোথাও গাছ লাগানোর জন্য প্রতিবছর আয়োজিত হয় উৎসব। কিন্তু আজ আপনাদের যেটা জানাতে চলেছি সেটা শুনে হয়তো অবাক হয় যাবেন আপনিও।
Bihar: A man says he has planted around 10,000 trees, mostly of Guava, on barren land in Belaganj area of Gaya in past 15 years
"I'm deeply inspired by Dashrath Manjhi. Once he visited my home & asked me to plant trees here. So I took up this task," says Satyendra Manjhi (12.02) pic.twitter.com/gV88BdvvMH
— ANI (@ANI) February 13, 2021
বিহারের এক ব্যক্তি নিজের একার চেষ্টায় ১৫ বিঘা জমিতে বিগত ১৫ বছর ধরে গাছ লাগিয়ে আসছেন। নেই ভাববেই এ আর এমনকি! তাহলে শুনুন, সত্যেন্দ্র মাঞ্জি নামের ওই ব্যক্তি যে জমিতে গাছ লাগিয়েছিলেন সেটি মোটেও উর্বর জমি নয়। জমিটি ছিল বন্ধ্যা জমি। অর্থাৎ জমিটি চাষের অযোগ্য বলেই তাতে কেউ চাষাবাদ তো দূরের কথা গাছ পর্যন্ত লাগতো না। সেখানে সত্যেন্দ্র মাঞ্জি একার চেষ্টায় ১০০০০ গাছ লাগিয়েছেন।
১০০০০ গাছের মধ্যে বেশিরভাগই হল পিয়ারা গাছ। আর প্রতিটি গাছই দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে আজও। অর্থাৎ একই অসাধ্য সাধন করেছেন বিহারের ওই ব্যক্তি। এই কাজের জন্য অনুপ্রেরণা সত্যেন্দ্র পেয়েছেন দশরথ মাঞ্জির থেকে। তিনি একবার সত্যেন্দ্রের বাড়িতে এসে তাকে গাছ লাগাতে বলেছিলেন। সেই থেকে আজও গাছ লাগানোর কাজ করে আসছেন সত্যেন্দ্র।
বর্তমানে তিনি পিয়ারা গাছের একটি বিশাল বড় নার্সারি তৈরী করে ফেলেছেন। যেখানে প্রায় ৫০০০০ পিয়ারা গাছের বীজ বপন করা হয়েছে। আজ পিয়ারা বিক্রি করেই সত্যেন্দ্র ভালো উপার্জন করছেন। এক সময়ের বন্ধ্যা জমিকে নিজের চেষ্টায় উর্বর জমিতে পরিণত করে ও ১০০০০ গাছ লাগিয়ে এক আলাদা নিদর্শনের সৃষ্টি করেছেন সত্যেন্দ্র মাঞ্জি।