বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা হলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। চরিত্র ছোট হোক কিংবা বড় বারেবারই তার প্রতি সুবিচার করে নিজের অভিনয় দক্ষতার মধ্যে দিয়েই প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি জাত অভিনেতা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর আসন্ন সিনেমা ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা (Abar Kanchenjunga)’-র ট্রেলার। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
কাঞ্চনজঙ্ঘা নামটা শুনলেই মনটা কেমন যেন পাহাড়, পাহাড় করে। আর সিনেমার নামেই রয়েছে তাই চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে একটানা ১৭ দিন,একসাথে ১৭ জন কলাকুশলীদের নিয়ে হৈ হৈ করে পাহাড়ের কোলে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে শ্যুটিং সেরেছিলেন শাশ্বত। আজ এই সিনেমার ট্রেলার মুক্তির পর সেই অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা।
ভ্রমণপিপাসু প্রত্যেক বাঙালির কাছেই একটা প্রশ্ন ভীষণ কমন, তা হল পাহাড় নাকি সমুদ্র। এই একই প্রশ্নই করা হয়েছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। উত্তর খুঁজতে গিয়ে ছোটোবেলায় ফিরে যান শ্বাসত। তিনি বলেন ‘ছোটবেলার বেশিরভাগ সমুদ্রেই যেতাম। কিন্তু বয়স যত বাড়ছে, পাহাড়ের শান্তিটা আমায় খুব টানে। আর ভালো লাগে জঙ্গল।’
সেইসাথে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ভিনেতার আরও সংযোজন ‘এই ছবিতে পিছনে সারাক্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গিয়েছে। বহুবার দার্জিলিং গিয়েছি আমি। কিন্তু এবার রোদ ওঠা, সোনালি আভায় কাঞ্চনজঙ্ঘার সেজে ওঠা থেকে শুরু করে রাতের অন্ধকারে গাঢ় হয়ে নেমে আসা সবটাই দেখা গিয়েছে স্পষ্ট। প্রতিদিন। মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। ১৭ দিন টানা কাঞ্চনসঙ্ঘা আমি এত বছরে কখনও দেখিনি।’
প্রসঙ্গত বর্তমানে টলিউডের পাশাপাশি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও লেগে রয়েছে অভিনেতার দেদার আনাগোনা।তবে শাশ্বতর চোখে দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। এপ্রসঙ্গে মুখে হাসি নিয়েই অভিনেতা বলেন ‘বলিউডে বাজেট বেশি, লোকসংখ্যা বেশি। কিন্তু বাংলায় প্রতিভা অনেক বেশি। কেবল বাঙালিদের ‘ঠিক আছে হয়ে যাবে’ ধরণের একটা মনোভাব আছে। সেটা না থাকলে আমরা, বাঙালিরা কোনও অংশে কম নই।’