গত কয়েক বছর ধরেই বলিউড কাঁপাচ্ছেন টলিউডের প্রতিভাবান অভিনেতা অভিনেত্রীরা। নিজেদের অভিনয়ের দক্ষতায় গোটা দেশের কাছেই নজির গড়েছেন তারা। আর এই তালিকায় সবার আগে নাম আসে বাংলার বব বিশ্বাস ওরফে শাশ্বত চ্যাটার্জির (Saswata Chatterjee)। বিদ্যা বালান, সুশান্ত সিং রাজপুত সহ একাধিক নামী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন শাশ্বত। এখন তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা, কিন্তু তার অভিনয়ে হাতেখড়ি যার জন্য তাকে যেন ভুলতেই বসেছে ইন্ডাস্ট্রি।
কথা হচ্ছে প্রয়াত অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ২০০৭ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জির বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেল তিনি আমাদের মাঝে নেই। শুভেন্দু চ্যাটার্জি ছিলেন একাধারে নামজাদা অভিনেতা এবং চিকিৎসক। ১৫ বছর আগে বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে বাবার উদ্দেশ্যে একটি কবিতা লিখেছিলেন শাশ্বত।
আজ দীর্ঘ দেড় শতক পরে বাবাকে নিয়ে লেখা সেই কবিতাই ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করলেন শাশ্বত। কবিতাটি শেয়ার করে শাশ্বত লিখলেন, “প্রায় ১৫ বছর হতে চলল বাপি চলে গেছেন। সেই সময়, ২০০৭ সাল নাগাদ বাপির জন্য আমি কয়েকটি লাইন লিখি। সেই লেখা কোথায় যেন, বই-এর পাতার মধ্যে হারিয়ে যায়। হঠাৎ করে সেদিন সেই লেখাটা খুঁজে পেলাম। ভাবলাম, আপনাদের সাথে আমার এই স্মৃতিটা ভাগ করে নি”।
বাবার উদ্দেশ্যে লেখা শাশ্বতর সেই কবিতা –
‘বাপি তুমি কার, আমার না সবার?
বাপি বলল দূর বোকা, আমি শিল্পী,
শিল্পী কি কারো একার?
যে ভালবাসবে আমি তার…
পাশ করেও ছেড়েছি ডাক্তারী,
করেছি মানুষের মনে সার্জারী,
কখনও হাসিয়ে কখনও কাঁদিয়ে
(আজ) করেছি নক্ষত্রলোক পার
শিল্পী কি কারো একার?
যার মন আছে আমি তার…
সব বুঝেছি বাপি, তবু প্রশ্ন জাগে…
বাপি তুমি কার, আমার না সবার?’
আসলে যেকোনোও সফল মানুষের জীবনেই তাদের অভিভাবকদের একটা বড় প্রভাব থাকে। তাই বাবাকে দেখে শাশ্বতও যে অনেক কিছুই শিখেছেন তা বলাই বাহুল্য। তাই বাবাকে হারানোর পর শাশ্বতর জীবনের শূণ্যস্থানটা আর মেটবার নয়।