রবিবার শেষ হয়েছে ‘সারেগামাপা’ ২০২৩’এর (SaReGaMaPa 2023) পথচলা। দীর্ঘ লড়াই শেষে বিজয়ীর খেতাব জিতেছেন লক্ষ্মীকান্তপুরের পদ্মপলাশ হালদার (Padma Palash Halder) এবং কলকাতার নিউ টাউনের মেয়ে অস্মিতা কর (Ashmita Kar)। এই বছর এই জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের শিরোপা কে জিতবেন তা নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে আগ্রহের শেষ ছিল না। গত কয়েকসপ্তাহ ধরেই শুরু হয়েছিল চর্চা। অবশেষে বিজয়ীর মুকুট উঠল পদ্মপলাশ-অস্মিতার মাথায়।
‘সারেগামাপা’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে পৌঁছেছিলেন ৬ জন প্রতিযোগী। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন পদ্মপলাশ এবং অস্মিতা। সদ্যসমাপ্ত সিজনে যুগ্ম বিজয়ী হয়েছেন দু’জনে। দ্বিতীয় স্থান এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে অ্যালবার্ট কাবো এবং সোনিয়া গজমের। তবে এ তো নাহয় গেল খেতাব জয়ের কথা, কিন্তু ট্রফির সঙ্গেই এই গায়ক-গায়িকারা আর কী কী পুরস্কার (SaReGaMaPa prizes) পেয়েছেন জানেন?
জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত এই রিয়্যালিটি শোয়ের নিয়মিত দর্শকরা জানেন, প্রত্যেক বছরই মোটা টাকা পুরস্কার মূল্য হিসেবে পেয়ে থাকেন বিজয়ীরা। চলতি বছরও তার অন্যথা হয়নি। যদি বলা হয়, এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে রবিবার পুরস্কারের বৃষ্টি হয়েছিল, তাহলে হয়তো অত্যুক্তি হবে না। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই বছরের বিজেতারা কী কী পুরস্কার পেলেন।
‘সারেগামাপা ২০২৩’এর দুই বিজেতা, পদ্মপলাশ এবং অস্মিতা দু’জনেই পেয়েছেন ৭ লক্ষ টাকার চেক। সেই সঙ্গেই পেয়েছেন একটি করে সোনার নেকলেস এবং বিলাসবহুল গাড়ি। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী কাবো পেয়েছেন ৩ লাখ টাকার পুরস্কার। সেই সঙ্গেই ফেসবুক ভিউয়ার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জেতার জন্য আরও ৪ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। অপরদিকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সোনিয়া পেয়েছেন ১ লাখ টাকা।
জনপ্রিয় এই রিয়্যালিটি শোয়ের খেতাব জেতার পর পদ্মপলাশ বলেন, ‘বিজয়ী হয়ে দারুণ লাগছে। সম্মানীয় বিচারক এবং অতিথিদের সামনে গান গাইতে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার’। অপরদিকে অস্মিতা বলেন, ‘আমার নাম ঘোষণার মুহূর্তটা কোনও দিন ভুলতে পারব না। মা, দাদা, বৌদি এসেছিলেন। কিন্তু বাবা বাড়ি থেকে আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন’।
প্রসঙ্গত, রবিবার ‘সারেগামাপা’র বিজয়ীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। দর্শকদের একাংশের অস্মিতার জয়ের সঙ্গে কোনও অসুবিধা না থাকলেও, পদ্মপলাশের জয়ে খুশি হতে পারেননি। তাঁদের দাবি ছিল, পদ্মপলাশের থেকে অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন কাবো। ফাইনালের দু’দিন পরেও সামাজিক মাধ্যমে চলছে এই আলোচনা।