বলিউডের (Bollywood) তারকাদের নিয়ে হামিশেই চর্চা লেগে রয়েছে। কখনো নতুন ছবিকে ঘিরে তো কখনো কারোর সম্পর্ক তো কখনো ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের কান্ড কারখানা নিয়ে হামেশাই আলোচনা তুঙ্গে। বিশেষ করে বলিউডে নেপোটিজম (Nepotism) নিয়ে সর্বটাই তর্ক বিতর্ক চলছেই। তবে তারকা সন্তানরা যে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে দর্শকদের মন জিতেছেন এটাও কিন্তু সত্যি। এই যেমন সাইফ আলী খান কন্যা সারা আলী খান (Sara Ali Khan)। বর্তমানে বি টাউনের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন সারা।
জীবনের প্রথম ছবি অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে কেরিয়ারের ওপর। সারা আলী খানের প্রথম ছবি ছিল প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সাথে। ছবির নাম ছিল কেদারনাথ। প্রথম ছবিই সুপারহিট হয়, যার জেরে কাজ পেতে অসুবিধা হয়নি পরবর্তীকালে। আর প্রতিবারেই নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে একটি নতুন ছবির জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করতে চলেছেন অভিনেত্রী। যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী ঊষা মেহেতার (Usha Mehta) চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে ছবির নাম কি? তাহলে বলি, আসন্ন এই ছবির নাম ‘আয়ে ওয়াতান….মেরে ওয়াতান’। এই বছরের শুরুতেই ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সারা আলী খান। সূত্রমতে খবর শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ছবির শুটিংয়ের কাজ।
ছবিতে মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামী ঊষা মেহেতাকে কেন্দ্র করে। যিনি আন্ডারগ্রাউন্ড রেডিও স্টেশন শুরু করেছিলেন যেটি কংগ্রেস রেডিও নামে প্রচলিত। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় এটি কয়েক মাস কাজ করেছিল। এই কয়েক মাসের মধ্যেই এটি বিশাল প্রভাব ফেলে দিয়েছিল। কারণ এটি ছিল ভারতের ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সেন্সরবিহীন সংবাদ এবং তার সাথে অন্যান্য তথ্য সম্প্রচারের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে সহায়তাও করেছিল।
এই ছবিটি প্রযোজনা করবেন করণ জোহরের ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট। এছাড়া এটি সরাসরি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে প্রিমিয়ার হবে। কান্নান আইয়ার হলেন এই ছবির পরিচালক এবং এর চিত্রনাট্য লিখেছেন দারব ফারুকি। আর এই ঊষা মেহেতার ভূমিকাতেই অভিনয় করবেন অভিনেত্রী সারা আলি খান।
ঊষা মেহেতার জীবনী নিয়ে এটিই একমাত্র ছবি নয়। কেতন মেহেতাও তার বায়োপিক নিয়ে কাজ করছেন। উষা মেহতা ছিলেন কেতন মেহতার বাবার বোন। করণ জোহরের এই ছবিটি নিয়ে কেতন মেহেতাকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি করণের শুভ কামনা করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ বোধ করি যেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং যতটা সম্ভব উপস্থাপন করা হয়। এটি একটি পারিবারিক উত্তরাধিকার। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এবং এই একমাত্র উত্তরাধিকার বাবা এবং কাকী আমাদের মধ্যে রেখে গেছেন এবং আমি মনে করি এটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত।”