অনেকেই ছোট বেলা থেকে বলিউডের (Bollywood) নায়ক বা নায়িকা হবার স্বপ্ন দেখেন। প্রতিবছর হাজারো ছেলেমেয়ে এই স্বপ্ন নিয়েই হাজির হয় বলিউডের শহর মুম্বাইতে। তবে খুব কমসংখ্যকই থাকেন যারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সার্থক হন। অনেক এমন অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন যারা অনেক পরিশ্রম করে জনপ্রিয় হয়েছেন। এমনই একজন অভিনেতা হলেন সঞ্জয় মিশ্র (Sanjay Mishra)। যার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকেরা বারেবারে।
নব্বইয়ের দশকে ‘ওহ ডার্লিং! ইয়ে হ্যায় ইন্ডিয়া’ ছবি দিয়ে পা রেখেছিলেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। এরপর থেকে একাধিক ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৩ সালে ‘আঁখো দেখি’ ছবিতে অভিনেতার দুর্দান্ত অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ছবিতে নিজের অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান সঞ্জয় মিশ্র। কিন্তু বলিউডে জনপ্রিয়তা পেয়েও নিজেকে অভিনয়ের থেকে খানিকটা দূরে সরিয়ে নেন বিখ্যাত এই অভিনেতা।
সঞ্জয় মিশ্রকে হয়তো সিনেমার নায়কের চরিত্রে দেখা যায়নি তবে যে চরিত্রেই অভিনয় করেছেন নজর করেছেন দর্শকদের। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে অভিনয় শিখেছিলেন অভিনেতা। এরপর সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এসেছিলেন মুম্বাইতে। গোলমাল,ধামাল,গান্ধীগিরি, জলি এলএলবি, ইত্যাদির মত ছবিতে অভিনয় করেছেন। সঞ্জয় মিশ্রর ‘ধন্দু জাস্ট চিল’ ডায়লগটি এখনও সকলের মনে গেঁথে রয়েছে।
https://youtu.be/ULjkQUpSRhY
যেমনটা জানা যায় অভিনেতার বাবা শম্ভুনাথ মিশ্র মারা যাবার পরই নিজেকে অভিনয় থেকে দূরে সরিয়ে নেন। বাবার প্রয়াণের পর মুম্বাইয়ের জাকজমকের জীবন ছেড়ে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে চলে যান সঞ্জয় মিশ্র। সেখানেই একটি ধাবাতে কাজ করতে শুরু করেন। যার দুর্দান্ত অভিনয় মুগ্ধ করে তিনিই কি না অভিনয় ছেড়ে শুরু করেন বাসম মজা থেকে চা তৈরির কাজ।
এমন একজন ভালোমানের অভিনেতা নিজের বাবার মৃত্যুটাকে মেনে নিতে পারেননি। তবে অভিনেতা যখন ঋষিকেশে ছিলেন ও ধাবায় কাজ করছিলেন তখন তাকে ফোন করেন বলিউডের পরিচালক রোহিত শেট্টি। তিনি সঞ্জয় মিশ্রকে অনুরোধ করেন করেন মুম্বাই ফায়ার আসার জন্য। রোহিত শেট্টির অনুরোধ রেখেছিলেন অভিনেতা, ফিরেছিলেন মুম্বাইতে। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একাধিক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।