বলিউডের (Bollywood) নামী পরিচালকদের নামের তালিকা যদি তৈরি করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে স্থান করে নেবেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী (Sanjay Leela Bhansali)। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘রামলীলা’ থেকে শুরু করে ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’- দর্শকদের একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। এবার সেই সঞ্জয়ই পা রাখছেন ওয়েব দুনিয়ায় (Web series)। শীঘ্রই আসছে তাঁর সিরিজ ‘হীরামণ্ডী’ (Heeramandi)।
গত শনিবার মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয়ের ডেবিউ সিরিজের প্রথম ঝলক। আর বলাই বাহুল্য, প্রথম ঝলকেই দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে ‘হীরামণ্ডী’। যদিও সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও (Conrtoversy)। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সিরিজের স্বার্থে তিনি নাকি ইতিহাস বিকৃত করেছেন। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিচালক নিজে।
‘হীরামণ্ডী’র দুনিয়ায় গণিকারাই রানি। সঞ্জয়ের আসন্ন সিরিজের টিজারেও রানির মতো লুকেই ধরা দিয়েছেন বলিউডের ৬ অভিনেত্রী। সোনালি রঙের পোশাক এবং একই রঙের গয়নায় অপূর্ব সুন্দর দেখাচ্ছিল মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাদের। পরাধীন ভারতে তিন প্রজন্মের গণিকাদের জীবনযাপনের কাহিনীই ফুটে উঠবে সঞ্জয়ের সিরিজে।
ডেবিউ ওয়েব সিরিজের জন্য ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ই বেছে নিয়েছেন ‘গাঙ্গুবাঈ’ পরিচালক। কিন্তু ‘হীরামণ্ডী’র টিজার দেখে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। সিরিজের প্রথম ঝলক প্রকাশ অনুষ্ঠানে সেই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
সঞ্জয় বলেন, ‘ইতিহাস নিয়ে কাজ করতে গেলে সবসময়ই একটু সতর্ক থাকতে হয়। সঠিক তথ্য খুঁজে না পাওয়া অবধি আমরা গবেষণা চালিয়ে যাই। তবে বাকিটা তো শুধুমাত্র কল্পনা! সেই সময়কার স্থাপত্য কিংবা সাজসজ্জা আমি দেখিনি। আমি ইতিহাস ঘেঁটে তথ্য খুঁজে বের করি। তবে সেই পর্যায়ে গিয়ে নয়’।
‘হীরামণ্ডী’ পরিচালকের সংযোজন, তাঁর কাছে গবেষণা হল খুবই একঘেয়ে একটি কাজ। সঞ্জয়ের কথায়, ‘আমি কিন্তু ডকুমেন্টারি বানাচ্ছি না। ছবির পরিচালক হিসেবে আমার একটাই চাওয়া, যেন চরিত্রের আবেগে কোনও প্রভাব না পড়ে’। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, প্রায় ১৪ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন। শোনা গিয়েছে, সঞ্জয়ের ডেবিউ সিরিজের কাহিনী ৮টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। শীঘ্রই নেটফ্লিক্সের পর্দায় ফুটে উঠবে সেই কাহিনী।