বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালক হিসাবে সদ্য ২৫ বছর পার করেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি (Sanjay Leela Bhansali)।১৯৯৬ সাল থেকে এই দীর্ঘ ২৫ বছরে ৯ টি ছবি পরিচালনা করেছেন বানশালি। যা তাঁকে ধীরে ধীরে বলিউডের অন্যতম সেরা তথা প্রথম সারির পরিচালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে। তবে এই সাফল্য তাঁর জীবনে রাতারাতি আসেনি।
দিনের পর দিন দিন ব্যার্থ হয়েও স্বপ্ন দেখার জেদ তিনি ছাড়েননি। সাফল্য লাভের সেই অদম্য জেদই তাঁকে তাঁর জীবনের সেরা উপহার এনে দিয়েছে। এখন তিনি দেশের অন্যতম সফল পরিচালক। তাঁর বাবা নবিন বনশালি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক। কিন্তু প্রযোজক হিসেবে নবীনের ক্রমাগত ব্যর্থতা গোটা পরিবারকে নিয়ে এসেছিল মুম্বইয়ের চওলে। একসময় অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে একেবারে হাল ছেড়ে দেন তিনি।
সেসময় জামাকাপড় সেলাই করে সংসার চালাতেন সঞ্জয়ের মা লীলা। পরিবারের এই অসহায় অবস্থার জন্য সেসময় সঞ্জয়ের বাবা নবীন চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে যেন তাঁর মতো ফিল্মের জগতে না আসেন। কিন্তু ছোট থেকেই সঞ্জয়ের মনে জেদ চেপে গিয়েছিল তিনি হিন্দি ছবির হাত ধধরেই কিছু করে দেখাবেন।তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুদিন কাজ করার পর যে দিন টাইটেল কার্ডে নাম যাওয়ার পালা এল সেদিন নিজের নামের পাশে নিলেন মা লীলা বানশালির পরিচয়।
বাবা নবীন বানশালির পরিচয় থেকে নিজেকে বিরত রেখে সেদিন থেকেই মায়ের পরিচয় নিয়ে সঞ্জয় বানশালি হয়ে উঠলেন ‘সঞ্জয় লীলা বানশালি। ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করার আগে সঞ্জয় পুণের এফটিআইআই থেকে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বিধুবিনোদ চোপড়ার সঙ্গে কাজ করেন সহকারী পরিচলক হিসেবে।
‘পরিন্দা’ এবং ‘১৯৪২ এ লভ স্টোরি’, দু’টি ছবিতেই তিনি ছিলেন সহকারী পরিচালনার দায়িত্বে। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’ সিনেমার হাত ধরে একক পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে বানশালির ।এরপর একে একে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ থেকে ‘দেবদাস’,’ব্ল্যাক’ ‘সাওয়ারিয়া’ থেকে ‘গুজারিশ’,’রামলীলা’ থেকে ‘বাজিরাও মস্তানি’ কিংবা ‘পদ্মাবত’।একের পর এক অন্য ঘরানার ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।