বলিউড অভিনেতা (Bollywood actor) সঞ্জয় দত্ত যে ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে ফিরে এসেছেন তা অনেকেই জানেন। এখন তিনি চুটিয়ে অভিনয়ও করছেন। ২০২২ সালের অন্যতম সফল ছবি ‘কেজিএফঃ চ্যাপ্টার ২’তেও তাঁকে দেখেছেন দর্শকরা। সম্প্রতি সেই সঞ্জয়ই (Sanjay Dutt) কর্কট রোগের (Cancer) সঙ্গে নিজের দীর্ঘ লড়াই নিয়ে মুখ খুললেন।
সঞ্জয়ের পরিবারের একাধিক সদস্য ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। তাই অভিনেতার শরীরে যখন মারণরোগ বাসা বেঁধেছিল, তখন মনের ভেতর কী চলছিল? সম্প্রতি বি টাউনের ‘মুন্না ভাই’ নিজে জানিয়েছেন সেকথা। জানিয়েছেন নিজের এই রোগ ধরা পড়ার পর ভেঙে পরা থেকে নিজেকে শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা।
বলিউড অভিনেতা বলেন, শুরুর দিকে তাঁর শুধু পিঠে ব্যথা হচ্ছিল। তবে যত দিন যেতে থাকে ততই নিঃশ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরু হয়। তখন চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। সঞ্জয়ের কথায়, ‘প্রথম হট ওয়াটার বটল এবং ব্যথার ওষুধ খেয়ে খেয়েই চলছিলাম। তবে একদিন দেখলাম নিঃশ্বাসই নিতে পারছি না। তখন আমায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে আমার ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয়নি’।
‘কেজিএফঃ চ্যাপ্টার ২’ অভিনেতার সংযোজন, ‘আমি তখন একাই ছিলাম। আচমকা ওঁরা আমায় এসে বলল ‘তোমার ক্যান্সার হয়েছে’। আমার স্ত্রী, পরিবার, বোন কেউ তখন আমার কাছে ছিল না’। অভিনেতা জানান, মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পর বোন প্রিয়া প্রথম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্ত্রী মান্যতা তখন দুবাইতে ছিলেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন, একথা শোনার পর সঞ্জয়ের মাথায় কী ঘুরছিল? সঞ্জুবাবা বলেন, ‘এই রকম সময়ে পুরো জীবনের ফ্ল্যাশব্যাক চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমার পরিবারেই ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে। আমার মা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। আমার স্ত্রী (রিচা শর্মা) ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। আমি প্রথমেই বলেছিলাম, কেমোথেরাপি নেব না’।
সঞ্জয়ের কথায়, ‘যদি মৃত্যু হয় তাহলে এমনি হোক, কোনও চিকিৎসা করিয়ে কেন মৃত্যু হবে’। তবে নিজের চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের ভেঙে পড়তে দেখে অভিনেতা ঠিক করেন তিনি চিকিৎসা করাবেন। অভিনেতা বলেন, ‘হঠাৎ একদিন রাতে আমি ঠিক করলাম আমি ভেঙে পড়লে আমার পরিবারের মানুষরাও ভেঙে পড়বে, অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমায় লড়তেই হবে’। জানিয়ে রাখি, ক্যান্সার আক্রান্ত অবস্থাতেই ‘কেজিএফঃ চ্যাপ্টার ২’এর শ্যুট করেছিলেন সঞ্জয়। অভিনেতার পারফম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা।