• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

অপরাধ করে জেলে গিয়ে মাত্র ৫০০ টাকা উপার্জন করতে বানিয়েছেন ঠোঙা! সঞ্জয় দত্তের জীবন আস্ত সিনেমা

বলিউডের বিতর্কিত এবং চর্চিত অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় দত্ত। বলিউডে সফল অভিনেতা হিসাবে পরিচয় পেলেও একাধিক বিতর্কের সাথে যুক্ত অভিনেতা। শতাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক থেকে ড্রাগস নেওয়া এমনকি আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের সাথেও যোগ ছিল তার। অভিনেতা নিজেই স্বীকার করেছিলেন এই সমস্ত কাণ্ডকারখানার কথা। এমনকি তার জীবন নিয়ে ইতিমধ্যেই সিনেমা তৈরী হয়ে গিয়েছে বলিউডে। এই ছবিতেই ফুটে উঠেছে সঞ্জু বাবার জীবনের সমস্ত ওঠাপড়ার কথা।

ছোট থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল না। তবে বাবা সুনীল দত্ত ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা, তার কথা রাখতেই কলেজটুকু কোনোমতে পাশ করেছিলেন তিনি। প্রায় সমস্ত ধরণের নেশার দ্রব্য ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তবে একসময় এতটাই বেড়ে যায় নেশার পরিমাণ যে জীবনটাই তছনছ হতে শুরু করে।

   

সঞ্জয় দত্ত,নেশা,রিহ্যাব,জেল,৫০০ টাকা,ঠোঙা,Sanjay dutt,REHAB,jail,500 rs

ছেলেকে এই দশা থেকে মুক্তি এগিয়ে এসেছিলেন বাবা সুনীল দত্ত। রিহ্যাবে পাঠিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তকে। ধীরে ধীরে নেশার যোগ থেকে বের করে এনে সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ছেলেকে। তবে শুধুই যে ড্রাগসের নেশা তা কিন্তু নয় ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ব্লাস্ট মামলায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। সন্ত্রাসবাদ এবং বিশৃঙ্খলার অপরাধী হিসেবে সঞ্জয়কে ২ বছর জেল খাটতেও হয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, ২০১৩ সালে আবারো মামলা সুপ্রিম করতে উঠলে আরো ৫ বছরের জন্য জেল খাটতে হয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে।

Sanjay Dutt Jailed

বৈচিত্র‍্যে ভরপুর সঞ্জয় দত্তের জীবনে ভালো সময় আর খারাপ সময় হাত ধরাধরি করে চলেছে। জেলে থাকাকালীন সময়টুকু তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। জানা যায়, জেলে বসে সময় কাটানোর জন্য কাগজের ঠোঙা বানাতেন অভিনেতা। তিন বছরে সেই ঠোঙা বানিয়েই মোট ৫০০ টাকা উপার্জন ও করেছিলেন তিনি।

cropped-Sanjay-Dutt-Kabir-Bedi-Kishore-Kumar-Bollywood-starts-who-did-multiple-marriages.jpg

এক সাক্ষাৎকারে তিনি একবার বলেছিলেন, জেলে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টা পর্যন্ত ঠোঙা বানাতেন তিনি। আর প্রতি ঠোঙা পিছু তার উপার্জন ছিল মাত্র ২০ পয়সা, তিন বছর জেল খেটে তিনি ৫০০ টাকার ঠোঙা বানিয়েছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই কষ্টসাধ্য উপার্জনের টাকা তিনি তুলে দিয়েছিলেন স্ত্রী মান্যতার হাতে। সাক্ষাৎকারে তিনি এও বলেছিলেন ওই ৫০০ টাকা তার কাছে ৫০০ কোটি টাকার থেকেও বেশি মাল্যবান ছিল।