ক্রিকেটের ভগবান বলে মানা হয় তাকে। তিনি মাস্টার ব্লাস্টার, মাঠে নামলেই ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের বুকে তুফান তোলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ৷ কিংবদন্তী এই ক্রিকেটারের ভক্ত সারা বিশ্ব জুড়েই। এর মধ্যে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরিও করেছেন, যা একটি বিশ্বরেকর্ড। তিনি নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে সব মিলিয়ে ৩৪,৩৫৭ রান করেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ২২ গজে অভিষেক হয় তার।
আমাদের ‘লিটল মাস্টার’ মাঠে নামলেই জয়ের আনন্দে ভাসত সারা দেশবাসী৷ বহু জয়ের ট্রফি তিনি দেশকে এনে দিয়েছেন৷ তার গর্বে আজও গর্বিত অনুভব করে ভারতবাসী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের মধ্যে তার নাম রয়েছে। তবে পেশাগত সাফল্যের বাইরেও শচীনের আরও একটি দিক রয়েছে। তিনি একজন লাজুক প্রেমিক, একজন অনুগত স্বামী এবং একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবনসঙ্গী।
ক্রিকেটে যেমন তিনি অনুপ্রেরণামূলক, তেমনই অনেক কিছু আছে যা সমস্ত ভারতীয় স্বামীরা এই ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ থেকে শিখতে পারেন। শচীনের মতো সফল ক্রিকেটার সুন্দরী নারী ভক্তদের অভাব হয়নি কোনোদিনই। কিন্তু আজ অবধি কোনোওরকম নারী ঘটিত বিতর্ক, বা প্রেম বিতর্কে নাম জড়ায়নি তার।
স্ত্রীর প্রতি তার অঙ্গীকার ও ভালোবাসা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। এটা বললে ভুল হবে না প্রত্যেক মহিলা এমন একজন স্বামীকেই তাদের জীবনে চান। যেহেতু শচীন প্রায় সারা বছর সারা পৃথিবী ভ্রমণ করতেন, তাই তিনি খুব কমই তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারতেন। কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টার যখনই বাড়িতে থাকতেন তখন তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে গুণগত সময় কাটাবেন তা নিশ্চিত করে তার কাজ এবং পরিবারের ভারসাম্য রক্ষা করেছিলেন।
তার স্ত্রী অঞ্জলি একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন “আমাদের বিয়ে হওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতে দীপাবলি কাটাননি। কিন্তু এটা কোন ব্যাপার না যে এটা দীপাবলী … যেটুকু সময় সে বাড়িতে থাকে সেটিই দারুণ! ” একবার বিবিসির একটি সাক্ষাৎকারে যখন তার স্বপ্নের নারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শচীন চোখের পাতা না ফেলে উত্তর দিয়েছিলেন ‘আমার স্ত্রী’।