যতদিন যাচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে আরিয়ান খানের মাদক মামলা। আর এই মামলায় দিনের পর দিন একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে তাঁর বাবার নাম নিয়েও হয়েছিল নানা বিতর্ক।
উল্লেখ্য মুম্বাইয়ের ক্রুজশিপ পার্টিতে বেআইনিভাবে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। এই ঘটনার পর থেকেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনতে শুরু করেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তিনি দাবি করেন সমীর ওয়াংখেড়ে আদতে একজন ‘মুসলিম’। তাঁর প্রকৃত নাম ‘সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে’।
মহারাষ্ট্রের ওই মন্ত্রীর দাবি পড়াশোনার সময় বিভিন্ন সার্টিফিকেটে জালিয়াতি করে নিজের নাম পালটে ফেলেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এরপরই সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে দাবি করেন তাঁর নাম ধ্যানদেব, দাউদ নয়। সুতরাং তাঁর ছেলের নাাম সমীর ওয়াংখেড়ে। তাই ইচ্ছেকৃতভাবে তার ছেলের নামের সাথে ‘দাউদ’ যোগ করা দেওয়ায় তিনি নবাব মালিকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন ওয়াংখেড়ের পক্ষ থেকে তার দুই আইনজীবী আরশাদ শেখ ও দিবাকর রায় তাঁর বার্থ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য নথি জমা দেন। অন্যদিকে নবাব মালিকের পক্ষ থেকেও কিছু নথি জমা দিয়েছিলেন তার দুই আইনজীবী অতুল দামলে ও কুণাল দামলে।
এদিন সমীর ওয়াংখেড়ের আইনজীবী আর্জি জানান, সমীর ওয়াংখেড়ের বাবাকে যেন আর দাউদ হিসেবে সম্বোধন করা না হয়। কারণ বহু আগেই তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন। এর আগে সমীর ওয়াংখেড়ে অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকেই তাঁকে নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। সূত্রের খবর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই একজন এসিপি স্তরের অফিসার নিয়োগ করেছে।