গত প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) মাদক মামলায় গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede)। এবার সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগে আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ডের তদন্ত থেকে সরানো দেওয়া হল এনসিবির এই দুঁদে অফিসারকে।
সূত্রের খবর তোলাবাজি-র অভিযোগ নিয়ে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও চালাচ্ছে এনসিবি (NCB)। জানা গেছে আরিয়ানের মামলা-সহ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাইয়ের মামলা, অভিনেতা আরমান কোহলির মাদক মামলা-সহ মোট পাঁচটি হাইপ্রোফাইল মাদক-মামলার (Drug Case) তদন্তভার এবার ওয়াংখেড়ের কাছে থেকে নিয়ে দিল্লিতে এনসিবির কেন্দ্রীয় শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য শুরু থেকেই এই মামলায় এনসিবির ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকি এই মামলা নিয়ে সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। নবাব মালিক আজ তাঁর বিরুদ্ধে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসঙ্গত আরিয়ানের এই মামলায় অন্যতম সাক্ষী হলেন প্রভাকর সইল। হলফনামায় তিনি সমীরের বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সব মিলিয়ে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাদিক বিতর্কে জড়িয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন সমীর নিজেই। তাই শোনা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে তদন্তভার থেকে নিজেই অব্যাহতি চেয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
তবে অপসারিত হওয়ার দাবি নাসাৎ করে ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, ‘আমাকে অপসারিত করা হয়নি তদন্তকারী দল থেকে। আমি তো আদালতেই রিট পিটিশনে জানিয়েইছিলাম যে এই তদন্তভার কেন্দ্রীয় টিমের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এবার থেকে আরিয়ান খান কেস এবং সমীর খান কেস দিল্লি এনসিবি-র বিশেষ দলের দায়িত্বে থাকবে। এটা এনসিবির দিল্লি ও মুম্বই টিমের মধ্যেকার সমঝোতা’।