প্রায় দু’বছর আগের ঘটনা। বলিউড (Bollywood) সুপারস্টার শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) গ্রেফতার করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। বছর দুয়েক পর ফের সেই অফিসারকে নিয়ে চর্চা চরমে উঠেছে। আরিয়ানকে গ্রেফতার করে যিনি রাতারাতি ‘স্টার অফিসার’ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই এবার উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ।
আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে মুম্বই উপকূলের একটি প্রমোদতরী থেকে বাদশা-পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিলেন এই এনসিবি অফিসার (NCB Officer)। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বহু তারকা শাহরুখ-পুত্র এবং শাহরুখের (Shah Rukh Khan) পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, অনেকে আবার কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করেছিলেন। তবে আরিয়ান এখন সেই মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন তিনি। তবে শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করে বদলে গিয়েছে সমীরের জীবন।
মাদক গ্রহণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান। প্রায় ২২ দিন জেলে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। তবে গত বছর মে মাসে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এনসিবি শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন আরিয়ান। তবে সিবিআই (CBI) অভিযোগ করেছে, আরিয়ানের এই ঘটনায় সমীর নাকি শাহরুখদের থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আরিয়ানকে মুক্ত করতে খান পরিবারের থেকে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন সমীর। এই বিষয়ে ভিজিল্যান্স রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্তকারীদের প্রাথমিক তদন্ত হয়। এরপর এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করার জন্য সমীর দুর্নীতির আশ্রয় নেন এবং শাহরুখদের থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এরপর আরিয়ানকে গ্রেফতার করা সমীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। সম্প্রতি এই অফিসারের বাড়িতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সমীরের স্ত্রী এবং ছেলে।
এরপরই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সমীর নিজে। আরিয়ানকে গ্রেফতার করা এই অফিসার বলেন, ‘সত্যিকারের দেশপ্রেমী হওয়ার মাসুল গুনছি আমি। কিন্তু আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে যাব। আমার সন্তান, বয়স মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়িকে সারাক্ষণ এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আমার সম্পূর্ণ পরিবার এখন ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে’।