পাঞ্জাবের নামী গায়ক এবং র্যাপার সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পর সম্পূর্ণ দেশ একপ্রকার কেঁপে গিয়েছিল। কীভাবে দিনের আলোয় গায়ককে হত্যা করা হল, তা দেখে চমকে উঠেছিল প্রত্যেকে। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই বলিউড সুপারস্টার সলমন খান (Salman Khan) এবং তাঁর পিতা খুনের হুমকি পান। পরে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিধু হত্যাকারী লরেন্স বিশ্নোইয়ের (Lawrence Bishnoi) গ্যাংয়ের সদস্যরাই একাজ করেছেন।
সম্প্রতি লরেন্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় গ্যাংস্টার স্বীকার করেছেন, তিনি ২০১৮ সালেই বলি সুপারস্টারকে খুন করতে চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গী সম্পত নেহরাকে নাকি সলমনকে খুনের বার্তাও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
একটি নামী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এবার জানা যাচ্ছে, ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের যোধপুরে চিঙ্কারা শিকারের (Chinkara poaching case) জন্য বিশ্নোই গ্যাং সলমনকে হত্যা করতে চেয়েছিল। শোনা যায়, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় এই শিকারের ঘটনা ঘটেছিল। লরেন্সের কথায়, চিঙ্কারা বা কৃষ্ণসার হরিণ রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বিশ্নোই সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে খুব প্রিয়।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, সলমনকে হত্যার জন্য সম্পত নাকি মুম্বই চলে এসেছিলেন। অভিনেতার বাড়ির চারপাশ ভালো করে পর্যবেক্ষণও করে ফেলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, দীনেশ ডাগর নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ লাখ টাকার আরকে স্প্রিং রাইফেলও অর্ডার করা হয়ে গিয়েছিল। ভাইজানকে যাতে দূর থেকে হত্যা করা যায়, সেই কারণেই রাইফেল কেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। দীনেশের সনফী অনিল পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তিকে সেই রাইফেলের দামও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দীনেশের কাছ থেকে সেই রাইফেল উদ্ধার হয়।
তবে এই প্রথম নয়, কৃষ্ণসার শিকার মামলায় সলমনের আইনজীবী হস্তি মাল সারস্বত জানিয়েছিলেন, তাঁকেও নাকি লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের তরফ থেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। লরেন্স এবং তাঁর সঙ্গী গোল্ডি ব্রারের নামে প্রথম অক্ষর লেখা একটি চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ‘শত্রুর বন্ধু তাঁদের প্রথম শত্রু’।