বলিউডের ভাইজান সালমান খান (Salman Khan) নামটা আজ সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। বলিউডের সুপার ষ্টার তিনি। বিবি হো তো এইসি ছবি দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছিলেন সালমান খান। তবে হিরো হিসাবে প্রথম সুপারহিট ছবি ছিল ‘মেইনে প্যার কিয়া’। ১৯৮৯ সালে রিলিজ হওয়া ছবিটি সেই সময় সুপার হিট হয়েছিল ও বক্স অফিস ব্যাপক রেকর্ড পরিমাণ টাকা তুলেছিল।
কিন্তু এই ছবি করার পরেও বলিউডে ছবির অফার পাচ্ছিলেন না ভাইজান। বেশ কয়েক মাস কাজ ছাড়াই বসে থাকতে হয়ে ছিল সালমান খানকে। কেন এমন হল? যেখানে বিগত ছবিতে রেকর্ড পরিমাণ টাকা তুলেছিলেন বক্স অফিসে সেই ছবির হিরোর হাত কাজ নেই কেন! এই প্রশ্নের উত্তর ভাইজান অভিনেতা সালমান খান নিজেই দিয়েছিলেন।
আসলে বলিউডে প্রথম দিকের ছবি সুপার হিট হলেই যে অভিনেতা অভিনেত্রীদের আর চিন্তার কিছুই থাকে না তা কিন্তু সর্বদা ঠিক নয়। সালমান খানের মেইনে প্যার কিয়া ছবির নায়িকা ছিলেন ভাগ্যশ্রী। ছবির শুটিংয়ের সময়ই একেঅপরের প্রেমে পরে যান দুজনেই। এমনকি বিয়ে করবেন এটা পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
ভেবেছিলেন বিয়ে করে বলিউড ছেড়ে দেবেন ও ভাগ্যশ্রীর সাথেই বাকি জীবন কাটাবেন। কিন্তু ভাগ্যশ্রীর সাথে বিয়ে তো হয়ই নি বরং ছবি সুপার হিট হবার সমস্ত ক্রেডিট নিয়ে নেয় ভাগ্যশ্রী। এরপরেই ভেঙে পড়েছিলেন সালমান খান। বেশ কয়েক মাস কাজের অভাবে বসে থাকতে হয়ে বসে থাকতে হয়েছিল তাকে।
একসময় এটাও ভেবেছিলেন যে হয়তো বলিউডে আর কিছুই করতে পারবেন না তিনি। নিজের সেই কষ্টের সময়ের কথা অভিনেতা আজও মনে আছে। তবে তার কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছিলেন বাবা সেলিমকে। সালমানের বাবা তৎকালীন বলিউডের প্রযোজক জিপি সিপ্পিকে বলেন ঘোষণা করতে যে তিনি সালমান খানকে আগামী ছবির জন্য সাইন করিয়েছেন।
প্রযোজক সালমানের বাবার কথা রেখেছিলেন। এরপরেই সংবাদ মাধ্যমে শিরোনামে চলে আসেন সালমান খান। যেহেতু আগের ছবি ছিল সুপার হিট তাই সালমানের চাহিদা পুনরায় বাড়তে থাকে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ছবির অফার আসতে শুরু করে সালমান খানের কাছে। এরপর থেকে অবশ্য তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।