বলিউডের ভাইজান তিনি, দাবাং ছবির হিরো, হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন সালমান খানের (Salman Khan) কথাই বলছি। সিনেমার পর্দায় তাঁর ভয়েই কাঁপে চোর ডাকাত থেকে বড় বড় অপরাধীরাও। এমকি বলিউডেও রাজত্ব কম নেই। কিন্তু এবার বাস্তবে প্রাণনাশের হুমকি পেতেই চিন্তায় ভাইজান। প্রকাশ্য দিবালোকে খুনের হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। একা তিনি নন তাঁর বাবা সেলিম খানকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ এবার প্রাণের ভয়ে মুম্বাই পুলিশের কাছে হাজির সালমান।
আসলে প্রাণের ভয় তো সকলেই থাকে। যতোই হোক একটা মাত্র জীবন বলে কথা, বেঁচেই যদি না থাকি তাহলে আর হল কি! তাই এবার পুলিশের দারস্ত হলেন স্বয়ং ভাইজানও। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার মুম্বাই পুলিশের হেড কোয়ার্টারের সামনে দেখা গিয়েছে সালমান খানের গাড়ি। সেখানে গিয়ে জয়েন্ট কমিশনারের সাথে দেখা করেন অভিনেতা।
শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ পুলিশের হেড কোয়ার্টারে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য এটাই। আত্মরক্ষার স্বার্থেই এই অস্ত্র রাখার আবেদন। তবে এই নিয়ে কোনো অফিসিয়াল তথ্য জারি করা হয়নি।
আসলে বিগত কিছুদিন যাবৎ কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর নিশানায় রয়েছেন সালমান।প্রাণনাশের যে হুমকি তিনি পেয়েছিলেন তা নাকি লরেন্সের থেকেই পাওয়া। পুরোদস্তুরে ভাইজানকে মেরে ফেলার প্ল্যান কষেছিল সে। এমনকি শার্প শুটার পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল সকালে সাইকেলিংয়ের সময় মারার প্ল্যান করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেটা বাতিল হয়।
কিন্তু কেন এই আক্রোশ? কেন গ্যাংস্টারের হিট লিস্টে নাম এল সাল্লু ভাইজানের? এর উত্তর হল, বিষয় আসলে যে সম্প্রদায়ের অন্তর্গত সেখানে কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করা হয়। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই যোধপুর এলেই অভিনেতাকে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোইকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে বিষ্ণোইয়ের দাবি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে সালমান খানকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য তবেই ক্ষমা করা হবে তাকে। এদিকে সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে সকলের ভাইজানকে দেখার ইচ্ছা থাকলেও বাড়ির বাইরে বেরোননি তিনি। তাই বোঝাই যাচ্ছে একপ্রকার ভয়ের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে ভাইজানের।