দীর্ঘ দিনের পথ চলায় বন্ধুতত্বের গল্প বলে সিনেমাপ্রেমীদের কালজয়ী একাধিক সিনেমা উপহার দিয়েছেন বলিউড (Bollywood)। তবে তা সিনেমার পর্দায়। কিন্তু বলা হয় বলিউডে কেউ কারো বন্ধু নয়। যত বন্ধুত্ব সবটাই তোলা ক্যামেরার ওপারে। বাকিটা আই ওয়াশ। কারণ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে বাস্তব জীবনে সবাই সবাইকে টেনে নীচে নামাতেই ব্যস্ত। বহুদিন ধরেই বলিউডে এমনই প্রচলিত একটা মিথ আছে।
কিন্তু দিনের পর দিন নিজের নিজের স্টারডমের পাশাপাশি বন্ধুত্বককে বজায় রেখেই এই প্রচলিত মিথকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের দুই খান। তাঁরা হলেন সালমান খান (Salman Khan) এবং আমির খান (Amir Khan)। জীবনের নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজও অটুট তাঁদের সেই পুরনো বন্ধুত্ব। তবে একথাও ঠিক দুই ফিল্মি নায়কের বন্ধুত্বের শুরুটাও কিন্তু একটু ফিল্মি।
আমিরের বন্ধুত্বের কথা ইন্ডাস্ট্রির কারোরই অজানা নয়। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ সিনেমার সেটে। কিন্তু সে সময় তাঁরা কেউই একে অপরের সাথে কথা বলতেন না। এ প্রসঙ্গে একবার করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ শোতে আমির জানিয়েছিলেন, ‘সে সময় আমি সালমান কে খুবই অপছন্দ করতাম। তাঁকে অত্যন্ত রূঢ় ও স্বার্থপর মনে হত আমার।’
সেইসাথে আমির জানান ,’সালমানের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁর সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণই করতাম। কিন্তু আমির জানান তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি পাশে পেয়েছিলেন একমাত্র সালমান খানকেই। তখন ভাইজান নাটকে নিজে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমিরের দিকে। সেই থেকে আজও তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। খানিকটা সিনেমার মতই প্রথমে রাগ তারপর বন্ধুত্ব।
অন্যদিকে আমির যে সালমনের কতটা কাছের তা সহজেই বোঝা যায় অতীতের একটি ঘটনা থেকে। একবার এক সাক্ষাৎকারে আমিরের পরকীয়া নিয়ে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়। বন্ধুকে অপ্রস্তুত অবস্থার পড়তে দেখে সেই দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে সালমান সাফ জানিয়ে দেন , ‘আমিরের বিষয়ে গসিপটা নয়, গসিপটা আসলে আমাকে নিয়ে’। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমিরের ইমেজ ভীষণ ক্লিন। কী করে যে এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখে তা ওই জানে।’