
দেখতে দেখতে ১৩ দিন পার অর্থাৎ প্রায় ২ সপ্তাহ হতে চলল এখনও জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। পয়লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে (Brain Stroke) আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই লড়াই জারি রয়েছে অভিনেত্রীর। চিকিৎসকরা বলছেন এখনও সংকট কাটেনি তাঁর। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর দ্রুত সেরে ওঠার প্রার্থনা চলছে গোটা বাংলা জুড়ে।
এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার কথা জানিয়ে একটি পোস্ট করলেন তাঁর প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। এমনিতে সব্যসাচী বরাবরই অত্যন্ত পজিটিভ একজন মানুষ। ঐন্দ্রিলার মতোই অসম্ভব মনের জোর তাঁর। এই কঠিন পরিস্থিতেও একেবারে শিশুর মতোই তিনি আগলে রেখেছেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে।
তাদের এই রূপকথার ভালোবাসার গল্পে মজে গোটা নেটপাড়া। সোমবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার সুস্থতার প্রার্থনা করার জন্য অনুরাগীদের উদ্ধেশ্যে পর্দার বামাখ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী লিখেছেন, ‘কোনওদিনও এটা এখানে লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন,চমৎকারের জন্য প্রার্থনা করুন, সুপার ন্যাচরালের জন্য প্রার্থনা করুন। ও সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করছে’।
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রেও মিলেছে বেশ উদ্বেগের খবর। জানা যাচ্ছে, সোমবার হালকা জ্বর এসেছে অভিনেত্রীর। যার জন্য তাঁকে দোওয়া হয়েছে বেশ কিছু নতুন অ্যান্টিবায়োটিক। তাই আপাতত চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন অভিনেত্রী। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনে ঘোরের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী। তাই সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো শারীরিক উন্নতি হয়নি অভিনেত্রীর।
প্রসঙ্গত এদিন সব্যসাচীর করা পোস্টের কমেন্ট সেকশনে প্রার্থনায় ভরিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সকলেই। প্রিয় বামাকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে মনের জোর দিয়েছেন তার ভক্তরা। এর আগে দু-দুবার ক্যান্সারকে হারিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিলেন ঐন্দ্রিলা। উল্লেখ্য দশ দিন আগে পয়লা নভেম্বর বাড়িতে মায়ের পাশে শুয়েই থাকা অবস্থাতে আচমকা অসার হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর গোটা শরীর।হঠাৎ করেই বমি করতে শুরু করেছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন ততক্ষণে তার মস্তিষ্কে শুরু হয়ে গিয়েছে রক্তক্ষরণ। তাই দ্রুত করা হয় অভিনেত্রীর অস্ত্রোপচার। আর তারপরেই আচমকা কোমায় চলে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।