আজ দুদিন হয়ে গেল ২০ দিনের লড়াই শেষে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। মিরাকলের জন্য হাজারো প্রার্থনাকে অবজ্ঞা করে নিয়তির কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অভিনেত্রী। শুরুর দিন থেকে ছায়াসঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সাথে করে, বলেছিলেন সাথে নিয়েই ফিরব। কিন্তু তা আর হল না। ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে কেমন আছেন অভিনেতা তা জানার জন্য রীতিমত উদ্বেগে রয়েছেন অনুরাগীরা।
রবিবার দুপুর পেরিয়ে যখন ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার খবর আসে তখন রীতিমত শোক স্তব্ধ হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। এরপর সকলেই শোকবার্তা থেকে শুরু করে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর ভালোবাসাকে কুর্নিশ জানাতে শুরু করেন। কিন্তু ততক্ষণে নিজের ফেসবুক প্রফাইলটি ডিঅ্যাকটিভেট করে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। যা দেখে সকলেই উদ্বিগ হয়ে পড়ে ছিলেন। সকলের মুখে তখন একটাই কথা, ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে থেমে গেল সব্যসাচীর কলম।
ফেসবুক থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিলেন এবার ইনস্টাগ্রাম থেকেও বিদায় নিলেন সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury delets Instagram)। এমনিতেই ইনস্টাগ্রামে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না তিনি। মূলত ফেসবুকেই দেখা যেত তাকে। তবে ইনস্টাগ্রামে তাঁর বেশিরভাগ ছবিতেই থাকতে ঐন্দ্রিলার ট্যাগ। এবার সেটাও বন্ধ করে সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।
এসবের আগে ১৯ শে নভেম্বরেই ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে করা সমস্ত পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। অভিনেতার এই আকস্মিক আচরণে আশঙ্কা শুরু করেছিলেন অনুরাগীরা। এরপর ২০ই নভেম্বর আসে দুঃসংবাদ। সেদিনেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে দেন তিনি। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরাতে ইনস্টাগ্রামটাও বন্ধ করে ফেলেন তিনি।
এতক্ষণে প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন সব্যসাচীর লেখালিখির শুরুটা ছিল ঐন্দ্রিলার জন্যই। দ্বিতীয়বার যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হন অভিনেত্রী তখন অনুরাগীদের তাঁর স্বাস্থ্যের খবর জানাতে ফেসবুকে লেখা শুরু করনে তিনি। কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা? কি করছেন, দুঃখ, কষ্ট থেকে আনন্দ সবটাই উজাড় করে দিতেন নিজের লেখনীতে। এই আপডেট পাওয়ার জন্য রীতিমত অপেক্ষায় থাকতেন অনুগামীরাও।
এমনকি ঐন্দ্রিলা সুস্থ হয়ে ওদের পর সব্যসাচী চৌধুরীর একটি বইও প্রকাশ পেয়েছিল। খুশিতে উচ্ছসিত হয়ে সাব্যসাচীকে পাশে নিয়ে বইয়ের সাথে ছবিও তুলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই ছবি আজও অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে জ্বলজ্বল করছে। তবে, সব্যসাচী যে আর কোনোদিন লেখালিখি করবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধু সৌরভ দাস। সৌরভ জানান, ঐন্দ্রিলার জন্যই কলম ধরেছিল সাব্য। কিন্তু এখন মিষ্টি (ঐন্দ্রিলা) নেই, তাই লেখার তাগিদও নেই। সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ার অযাচিত ভিড় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন তিনি।