বাঙালির কাছে ফেলুদা (Feluda) শুধু একটা চরিত্র নয়, বরং আবেগের আর এক নাম। একটা গোটা প্রজন্ম আছে যাদের ছোটো থেকে বড় হয়ে ওঠার সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে এই গোয়েন্দা চরিত্র ট। প্রথমে বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের এই কালজয়ী সৃষ্টিতে বাঙালি সৌমিত্র চ্যাটার্জীকে (Soumitra Chatterjee) দেখলেও, পরবর্তীতে নিজ অভিনয় গুণে এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন সকলের প্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty)।
তাই সানডে সাসপেন্স হোক কিংবা টিভির পর্দা সব্যসাচীর অসাধারণ রাশভারী গলা শোনামাত্রই বাঙালির মনে পড়ে যায় ফেলুদার কথা। একথা কিন্তু একবাক্যে স্বীকার করে নেবেন যে কেউ। তাই তিনি যত চরিত্রেই অভিনয় করুন না কেন অনুরাগীদের কাছে কিন্তু তিনি চিরকাল ফেলুদা হয়েই থেকে যাবেন। প্রসঙ্গত বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে জি বাংলার একটি পুরনো নন ফিকশন শো ‘অপুর সংসার’ (Apur Songshar) এর ভিডিও।
সম্প্রতি এই জনপ্রিয় শোয়ের এমনই একটি পর্বের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেই পর্বে অতিথি আসনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং সব্যাসাচী চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী তথা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী (Mithu Chakraborty)। সেখানে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের একটা বড় রহস্য ফাঁস করেছিলেন এই তারকা দম্পতি।
জানা যায় সব্যসাচীর বড় হয়ে ওঠা দিল্লিতে। সেখানেই কেটেছে তার ছাত্রজীবন। ডায়গোনেস্টিক এক্স-রে মেশিন তৈরির প্ল্যান্ট থেকে এসে পড়েন থিয়েটারের দুনিয়ায়। নব্বইয়ের দশকে জোছন দস্তিদারের ‘তেরো পার্বন’ সিরিয়াল থেকেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন অভিনেতা। সেই থেকে আজও ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সর্বত্রই অবাধ যাতায়াত তাঁর।
১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীর সাথে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় তাঁর। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশী দিনের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। তবে তাদের বিয়ের পিছনে রয়েছে এক মজার গল্প। অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী জানান সব্যসাচী এখন তাঁর স্বামী হলেও বিয়ের আগে ছিলেন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নী ছিলেন তাঁরা! আসলে সব্যসাচী মিঠু চক্রবর্তীর মায়ের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় হন। সেদিক দিয়েই এমন সম্পর্ক তাদের।