দেখতে দেখতে এক মাসের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে প্রয়াত হয়েছেন বিখ্যাত সংগীতশিল্পী কেকে (KK)। হটাৎ করে তাঁর চলে যাওয়ার ক্ষতি যে কতটা সেটা বুঝতে পেরেছে সংগীতমহল থেকে শুরু করে কোটি কোটি ভক্তরা। এদিকে মৃত্যুর আগেই বাংলার গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) একপ্রকার অপমান করেছিলেন তাঁকে। ফেসবুক লাইভে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘হু ইস কেকে?’ তাই কেকের মৃত্যুর পর রাগে তুলোধনা করেছিলেন নেটিজেনরাও।
নেটপাড়ায় অব্যাহত থাকে রূপঙ্করকে নিয়ে কটাক্ষ ও নিন্দা। এরপর নিজের ঔদ্ধত্যের বসে হওয়া ভুলের জন্য সকলের সামনে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়ে নেন তিনি। তবে তাতেও সেভাবে কাজ হয়নি, এখনও অনেকেই ক্ষিপ্ত রয়েছেন তাঁর প্রতি। তবে এবার কেকে’কে উদ্দেশ্য করে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলেন রূপঙ্কর বাগচী। কিন্তু তাতেও ঘটল বিপত্তি, আবারও নেটিজেনদের তীব্র কটাক্ষের শিকার গায়ক।
বিগত কিছুদিন কেকে বিতর্কের আঁচ কিছুটা কমেছিল বলেই মনে হয়েছে। এরপরেই বেসরকারি একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে কেকে’র গাওয়া গান গেয়েই শিল্পীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রূপঙ্কর। ‘মাই ব্রাদার নিখিল’ ছবির জনপ্রিয় ‘লে চলে’ গানটি গেয়ে শুনিয়েছেন তিনি। সেই গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হতেই নিমেষে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এর পরেই শুরু হয় গোল।
ভিডিও দেখে বেশ কিছুজন যেমন প্রশংসা করেছেন তেমনি অনেকেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন গায়কের দিকে। কারোর মতে, ‘প্রায়শ্চিত্তের ব্যর্থ প্রচেষ্টা’। তো কেউ ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন, ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা’। আবার এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘উনি নাকি কেকে কে চিনতেন না!’ অর্থাৎ এখনও যে মানুষের মনে ক্ষোভ জমে রয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৩১ শে মে কেকে’র মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের মন্তব্যের জন্য ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল গায়ককে। এমনকি তাঁর পরিবারকেও কুরুচিকর মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এর কিছুদিন পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সকলের সামনেই ক্ষমা চান তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমার করা একটা লাইভ ভিডিও গোটা পরিবারকে এভাবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা, নীপিড়নের শিকার করে তুলবে স্বপ্নেও ভাবতেও পারিনি’।
এরপর তিনি আরও বলেন, গায়ক হিসাবে অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি স্বীকৃতিও পেয়েছি। কিন্তু এক মুহূর্তের অসতর্কতা এভাবে গনগনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরী করবে সেটা কে জানত! এই ঘৃণা ও আক্রোশের পরিবেশ সবটাই আমার কথাগুলো ঠিকমত গুছিয়ে না বলতে পারার জন্য। তবে এই ক্ষমা চাওয়ার পরে আক্রোশ অনেকটাই কমলেও সম্পূর্ণরূপে কমেনি।