বাংলা সঙ্গীত জগতের (Bengali music industry) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi)। তিনি যে কত জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। যদিও গত বছরটা এই নামী গায়কের (Singer) জন্য একেবারেই ভালো যায়নি। বলিউডের জনপ্রিয় হায়কা কেকের প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে জনরোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখোমুখি হয়েছিলেন দেদার ট্রোলিংয়ের।
দেখতে দেখতে মাঝখানে বেশ অনেকটা সময় কেটে গেলেও, ‘হু ইজ কেকে’ বিতর্ক এখনও রূপঙ্করের পিছু ছাড়েনি। মাঝেমধ্যেই এই নিয়ে ট্রোলারদের খোঁটা শুনতে হয় তাঁকে। কয়েকদিন আগে আবার নামী গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের ছবিতে কমেন্ট করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তখনও রূপঙ্করের দিকে ধেয়ে এসেছিল একাধিক কটু মন্তব্য।
এসব নেতিবাচকতাকে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দেন না রূপঙ্কর। তবে এসবের মাঝেই গায়কের সঙ্গে জড়িত আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সেটি আবার জানিয়েছেন গায়ক নিজেই। রূপঙ্কর জানান, কীভাবে মুম্বইয়ে (Mumbai) গিয়ে এক নামী সঙ্গীত পরিচালকের (Music Director) কাছে অপমানিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি গায়ক শিলাজিতের একটি টক শোয়ে এসে তিনি সেই বিষয়ে মুখ খোলেন।
শিলাজিৎ নিজেই এই কথাটি তুলেছিলেন। রূপঙ্করের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তিনি। জবাবে মুম্বইয়ের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেন গায়ক। রূপঙ্কর বলেন, ‘শান্তনুদা (মৈত্র) ফোনে আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল। মন্টির (শর্মা) সঙ্গে দেখা করার জন্য মুম্বইয়ে ওঁর স্টুডিওয় যাই। একটা-দু’টো গান শোনানো হল, জ্যামিং হল। এরপর উনি আমায় বলেন পাঁচ মিনিট অপেক্ষা কর, আমি আসছি। একথা বলে, উনি হাওয়া!’
রূপঙ্করের সংযোজন, ‘পাঁচ মিনিট করতে করতে পাঁচ ঘণ্টা কেটে গেল। আমি বসছি, বাইরে যাচ্ছি, সিগারেট খাচ্ছি। এরপর ওখানকার একজন রিসেপশনিস্ট বললেন, মন্টি স্যার আজ আসবেন না’। এখানেই অবশ্য সেই ঘটনা শেষ হয়নি। এত কিছুর পরেও রাতে রূপঙ্করকে ফোন করে গালিগালাজ করেন ‘সাওয়ারিয়া’র মতো জনপ্রিয় ছবির সঙ্গীত পরিচালক মন্টি (Monty Sharma)।
রূপঙ্কর বলেন, ‘রাতে আমায় ফোন করে মন্টি পাঞ্জাবিতে গালাগাল দেন। আমিও এরপর বাংলায় দু-চারটে গালাগাল ইই। আমায় ফোনে বলেন, তুই কেন অপেক্ষা করিসনি? আমি আসতাম। তুই চলে গিয়েছিল, তোকে আর কাজ দেব না। আমিও বলি, (অশ্লীল শব্দ) তোর কাজের দরকার নেই’। সম্পূর্ণ ঘটনা শোনানোর পর রূপঙ্কর শিলাজিৎকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি ঠিক করিনি?’ জবাবে শিলাজিৎ সাফ বলেন, ‘একদম ঠিক করেছিস’।