টলিউডের (Tollywood) অন্যতম পরিচিত মুখ হলেন রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra)। বহু বছর ধরে টলিপাড়ায় দাপিয়ে কাজ করছেন অভিনেত্রী। বড়পর্দা থেকে শুরু করে ছোটপর্দা- সব মাধ্যমেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। এখন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় লাবণ্যরূপে দর্শকদের সামনে হাজির হন রূপাঞ্জনা। সেই অভিনেত্রীই এবার টলিউড (Tollywood) নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যা শোনার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ইন্ডাস্ট্রির উঠতি নায়িকাদের আচরণ থেকে শুরু করে ব্যবহার, সব কিছুতেই রীতিমতো বিব্রত রূপাঞ্জনা। একটি মাত্র ধারাবাহিকে অভিনয় করেই দামি মোবাইল থেকে শুরু করে হীরের আংটি, কী নেই তাঁদের কাছে! নেপথ্যে কি ইন্ডাস্ট্রির ‘সুগার ড্যাডি’রা রয়েছেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপাঞ্জনা। কিন্তু এই ‘সুগার ড্যাডি’ কারা?
হয়তো মডেল কিংবা অভিনেত্রী হতে চাওয়া কেউ নাম-যশ-খ্যাতি সব কিছু চান, তবে তাঁর ‘খাটনি’ না-পসন্দ। দরকার ‘ইনস্ট্যান্ট’ কোনও উপায়। অতএব খোঁজ পড়ে ‘সুগার ড্যাডি’দের। এনারা হলেন ইন্ডাস্ট্রির ধনী, প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তি যিনি আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির বাকি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন। তবে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে থাকে পারস্পরিক ‘দেওয়া নেওয়া’র ওপর।
এই নিয়ে রূপাঞ্জনা এক নামী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সবাই কি এটা বেশ্যাখানা তৈরি করে ফেলবে? যারা কষ্ট করে এখানে নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করে, তাঁদের কী হবে? নতুন অভিনেতাদের কিন্তু এটা একটু ভাবা উচিত’।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্যের এই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনার পর সেই একই সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির দুই পরিচিত মুখ ঊষসী রায় (Ushasi Ray) এবং গৌরব রায়চৌধুরী (Gourab Roy Chowdhury)। ঊষসী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সত্যিই আমার এই বিষয়ে ধারণা কম। এমন কাউকে আশেপাশে দেখিনি। যদি আমার কথা বলেন, তাহলে আমি অনেক কষ্ট করে নিজের জায়গা তৈরি করেছি। আমার বিশ্বাস কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। আর যা কথা রটে, সে বিষয়ে বলব কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’।
প্রায় একই সুর শোনা যায় গৌরবের গলাতেও। অভিনেতা বলেন, ‘এটা একেবারেই নিজেদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। মনে হয় না আমাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত। যদি তাঁরা ভালো কাজ করেন, সৎ পথে থাকেন তাহলে তাঁদের ভালো হবে। আর যদি কিছু খারাপ করে তাহলে তা প্রকাশ্যে আসবেই। তবে আমাদের সমাজের ইতিবাচক দিকেই কিন্তু মনোযোগ দেওয়া উচিত’।