সম্প্রতি বিজেপিতে (BJP) যোগদান করে রাজ্য-রাজনীতিতে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল (Rudranil Ghosh)। সরস্বতী পূজার (Saraswati Puja) সকালবেলা গল্ফগ্রীনের অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। সেইসময়েই তিনি ভাগ করে নিলেন তাঁর সরস্বতী পূজার অভিজ্ঞতা।
গেরুয়া শিবিরে নির্বাচনী দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার অনেক বছর আগে থেকেই গুরুদায়িত্ব পালনের অভ্যাস রয়েছে রুদ্রনীলের। শৈশবে রুদ্রনীলের আঁকার হাত ছিল বেশ ভালোই। আর তাই হাওড়ার কেদারনাথ ইনস্টিটিউটে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়েই সরস্বতী পূজার সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে রুদ্রনীল জানান, “কেদারনাথে পড়ার সময়েই আমার কাঁধে সরস্বতী পূজার দায়িত্ব আসে। একই স্কুলে সকালে মেয়েদের আর বেলায় ছেলেদের ক্লাস হত। কিন্তু পূজা তো একটিই! আর তাই ওই একটা দিনই ছেলেমেয়েরা একসাথে উপস্থিত হত স্কুলে। দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যেও যে রোমাঞ্চ লুকিয়ে থাকে, তা বুঝেছিলাম সেদিনই।”
বাঙালির প্রেমদিবসের সম্পর্কে স্মৃতিচারণায় উঠে আসে রুদ্রনীলের ছেলেবেলার কাহিনী। অভিনেতা জানান, “এখনকার অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে শাড়ি পরার প্রথা প্রায় উঠেই গিয়েছে। সেইসময় সরস্বতী পূজায় শাড়ি পরিহিতা সকলকেই আমার ভাল লাগত।” প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার প্রশ্নে রুদ্রের সাফ বক্তব্য, “সেসময়ে টেলিফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। দূর থেকে দেখতাম, ভালো লাগত। ব্যাস, এটুকুই।”
রাজনৈতিক দলগুলির পূজা আয়োজনের বিষয়ে বেশ ঘুরিয়ে উত্তর দিতে দেখা গেল রুদ্রনীলকে। মানিকতলায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র (ABVP) সরস্বতী পূজা আয়োজনের বিষয়ে রুদ্রনীল জানান, “বাম জমানায় সরাসরি পূজাপার্বণের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও পূজামন্ডপগুলির সামনে বই বিক্রি করে নানাভাবে উৎসবকে জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করত সিপিআইএম। পরবর্তীতে উৎসবকে সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তৃণমূল। বর্তমানে এবিভিপি ছাত্র সংগঠন হিসেবে পূজার আয়োজন করতেই পারে।” তবে পূজা-উৎসবকে জনসংযোগের স্থান হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে যে ছাপিয়ে যেতে পারেনি বিজেপি, তা স্পষ্ট রুদ্রনীলের কথাতেই।