অতীতে সম্পর্কে ছিলেন, কিন্তু আজ পথ আলাদা হয়েছে দুজনের। তারপরেও শুধুমাত্র পেশাগত চাহিদার ক্ষেত্রে রূপোলি পর্দায় জুটি বেঁধেছেন একসাথে। বলিউড হোক বা টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ঘটনা নতুন নয়। উদাহরণ আছে ভুরি ভুরি। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রাক্তন জুটি রুদ্রনীল ঘোষ ( Rudranil Ghosh) এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী Tanushree Chakraborty)।
সম্পর্ক ভেঙেছে অনেকদিন তারপর মাঝখান দিয়ে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। এসবের মধ্যেই দেখতে দেখতে অভিনেতা রুদ্রনীলের বয়স গিয়ে পৌঁছেচে ৫০-এর দোড়গোড়ায়। এখনও টলিউডের অন্যতম ব্যাচেলর অভিনেতা। অথচ বিয়েতে যে তাঁর আপত্তি রয়েছে এমনটা নয়। সালটা ছিল ২০১৭। কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন বিয়ে করবেন তিনি।
পাত্রী ছিলেন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তনুশ্রী চক্রবর্তী। সব ঠিক থাকলেও মিলল না সম্পর্কের সমীকরণ। তাই বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই দুজনেই সরে দাঁড়ালেন একে অপরের জীবন থেকে। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা দুজনেই বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। হেরেও গিয়েছিলেন দুজনে। তবে সম্পর্ক ভাঙলেও পেশাদার অভিনেতা হিসাবেই চলতি বছরের শুরুর দিকে পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্তের ছবি ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই প্রাক্তন জুটি।
এতদিন কারণটা রহস্য থাকলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ রুদ্রনীল। তনুশ্রীর সাথে বিয়ে ভেস্তে যাওয়ার কারণ খোলসা করে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন ‘আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম, তবে বন্ধুত্বকে অন্য আকার দিতে গিয়ে দেখলাম স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলে অনেক কিছু বাধো বাধো ঠেকবে। বন্ধুকে যে কথা অবলীলায় বলা যায়, তা প্রেমিকাকে বলা সম্ভব নয়। তাই আলাদা হয়ে গেলাম’।
তবে তনুশ্রীর জীবনে এখন রয়েছেন নতুন মানুষ। একথা অজানা নেই কারও। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন নামীদামী ব্যবসায়ী রাজকুমার গুপ্তা। আর এদিন প্রাক্তনকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন রুদ্রনীল বলেন ‘ও এখন নতুন জীবনে পা রেখেছে। নতুন প্রেমিক আছে ওর। অনেক শুভেচ্ছা।’ তবে প্রাক্তনের বিরহে কি আর বিয়ে করবেন না রুদ্রনীল? সাসপেন্স বজায় রেখে উত্তরে নিজেই জানালেন ‘বিয়েতে আমার আপত্তি নেই। হতেই পারে, আজ থেকে দু’তিন মাস পরে আমি বিয়ে করে নিলাম।’