কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে দেব-মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘প্রজাপতি’ (Projapoti)। বাবা-ছেলের রসায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। তবে এই সিনেমা আরও একজন ব্যক্তির কাছে খুব বিশেষ। তিনি হলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য (Shweta Bhattacharya)। এই ছবির হাত ধরেই বড়পর্দায় পা রাখলেন ‘সোহাগ জল’ নায়িকা।
ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পা রাখার সফর সহজ ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের অভিনয়ের জোরে ঠিক দেবের নায়িকা হয়ে গেলেন শ্বেতা। মনের মানুষকে সুপারস্টার দেবের সঙ্গে দেখে স্বাভাবিকভাবেই গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে অভিনেত্রীর বাস্তব জীবনের প্রেমিক তথা অভিনেতা রুবেল দাসের (Rubel Das)।
‘যমুনা ঢাকি’ সিরিয়াল করার সুবাদে ‘যমুনা’ নামেই বেশি পরিচিত শ্বেতা। বড়পর্দায় ডেবিউ করা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড খুশি তিনি। অপরদিকে প্রেমিকার সাফল্যে আনন্দিত ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের সৃজন তথা রুবেলও।
শ্বেতা এমন একজন অভিনেত্রী যিনি একেবারেই ক্যামেরার সামনে শরীর দেখানো খোলামেলা পোশাক পরতে পছন্দ করেন না। অভিনেত্রী হলেই যে স্বল্প পোশাকে অভ্যস্ত হতে হবে এই ধারণার ঘোরতর বিরোধী ‘সোহাগ জল’ নায়িকা। এমনকি হাত কাটা পোশাকেও আপত্তি রয়েছে তাঁর। শ্বেতা বরং অভিনয়ের জোরে কাজ পাওয়ায় বিশ্বাসী। এতদিন ধরে অভিনয় দক্ষতার সুবাদেই কাজ পেয়েছেন তিনি।
পোশাক নিয়ে এত আপত্তি থাকা সত্ত্বেও শ্বেতা আজ টলি সুপারস্টার দেবের ছবির নায়িকা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড গর্ব হচ্ছে রুবেলের। অভিনেতা বলেন, পোশাক নিয়ে যাবতীয় শর্ত শ্বেতার নিজস্ব ব্যাপার। রুবেল নাচের মঞ্চ থেকে অভিনয়ে এসেছেন। নাচের দুনিয়ায় অনেকেই ছোট পোশাকে সাবলীল। তবে শ্বেতা তেমন একেবারেই নন।
ছোটপর্দার ‘যমুনা’র পোশাক নিয়ে এই আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এত বছর কাজ পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। নানান ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। রুবেলের কথায়, পোশাকের এই শর্তের জন্য কাজ হারালেও শ্বেতার বিশেষ সমস্যা হবে না মনে হয়। কিন্তু কিছুতেই নিজের নীতি থেকে সরে আসবেন না অভিনেত্রী।