পর্দায় অব্যাহত পরিচালক এস এস রাজমৌলির ম্যাজিক। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে রামচরণ (Ramcharan) এবং জুনিয়র এনটিআর (Jr NTR) অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা আরআরআর (RRR)। তাই একথা বলাই যায় সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এই সিনেমা খানিকটা ‘সবুরে মোয়া ফলা’র মতোই। ইতিমধ্যে মুক্তির প্রথম দিনেই ব্লকবাস্টার হিট বাহুবলির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই সিনেমা।
রাজমৌলির মতো প্রথম সারির পরিচালকের সাথে কাজ করে এই মুহূর্তে কার্যত সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে রয়েছেন অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর। সিনেমায় তার পেশীবহুল মেদহীন সুঠাম চেহারা ঝড় তুলেছে আসমুদ্র হিমাচল অসংখ্য তরুণীর হৃদয়ে। তবে শুনলে হয়তো অবাক হবেন অনেকেই, একসময় নাকি অত্যাধিক মোটা হওয়ার কারণে অনেকের কাছেই হাসির পাত্র হয়েছিলেন অভিনেতা।
জানা যায় সেসময় তার ওজন ছিল ১০০ কেজি। সেই মোটাসোটা চেহারা থেকে আজকের জুনিয়র এনটিআর -এর আশ্চর্য ট্রান্সফর্মেশন ফের একবার মন জয় করে নিয়েছে ভক্তদের। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির তেলেগু সংস্করণ ‘ইভারু মিলো কোটিসওয়ারুলু’ শোতে,এ প্রসঙ্গে জুনিয়র এনটিআর জানিয়েছিলেন মোটা হওয়ার কারণে কীভাবে লোকজন তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতেন।
এছাড়াও জানা যায় আর আর আর এর পরিচালক রাজমৌলিও তার সিনেমার চরিত্রের জন্য এনটিআর কে পরামর্শ দিয়েছিলেন চেহারা নিয়ে ভাবতে। এরপর জুনিয়র এনটিআর সুঠাম ও পেশীবহুল চেহারা বানিয়ে একেবারে ঝামা ঘষে দেন সমালোচকদের মুখে। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও তিনি মাত্র তিন মাসে কুড়ি কেজি ওজন করিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর এ বার পরিচালক রাজামৌলির ছবির জন্য তিনি ৯ কিলোগ্রাম পেশীভর বাড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
আর সূত্রের খবর জুনিয়র এনটিআর কে এই ম্যাজিক ঘটাতে সাহায্য করেছে তারকা ফিটনেস ট্রেনার লয়েড স্টিভান্স। সুঠাম ও পেশীবহুল দেহ তৈরি করতে মূলত দুটি জিনিস নিয়মিত করে গিয়েছেন অভিনেতা এক স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস,তার জন্য বদলাতে হয়েছে খাদ্যাভ্যাস। দ্বিতীয়ত কঠোর পরিশ্রম করে ঝরাতে হয়েছে ঘাম,সপ্তাহে ছ’দিন নিয়মিত জিমে ঘাম ঝরাতে দেখা যায় জুনিয়র এনটিআরকে। আর এক দিন নিতে হয় সম্পূর্ণ বিশ্রাম।