সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা একের পর এক বাংলা সিরিয়ালের দাপটের মাঝেই ইদানিং বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভিন্ন স্বাদের নন ফিকশন (Non Fiction) রিয়েলিটি শোগুলি। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অত্যন্ত জনপ্রিয় এমনই একটি গেম শো হল জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No 1)। যার অন্যতম মূল কান্ডারী হলেন এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা তথা টলিউড অভিনেত্রী (Tollywood Actress) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। সম্প্রতি এই শোতে এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকমা রায় (Rooqma Roy)।
প্রসঙ্গত বাংলা সিরিয়ালের (Bengalli Serial) পাশাপাশি রুকমা সম্প্রতি পা রেখেছেন ওয়েব সিরিজের (Web Series) দুনিয়াতেও। সদ্য তিনি অভিনয় করছেন হইচই টিভির নতুন ওয়েব সিরিজ ‘রক্তকরবী’তে (Raktakarabi)। তবে না এই ওয়েব সিরিজের সাথে রবি ঠাকুরের লেখা রক্তকরবীর কোন মিল নেই,নামটুকু ছাড়া।
সম্প্রতি এই ওয়েব সিরিজের প্রচারেই রুকমা সহদিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন এই ওয়েব সিরিজের অন্যান্য অভিনেত্রীরাও। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই জি বাংলার পর্দায় শেষ হয়েছে রুকমা অভিনীত জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘লালকুঠি’ (Lalkuthi)। রহস্য রোমাঞ্চে মোড়া এই সিরিয়াল বেশ হিট হয়েছিল টেলিভিশনের পর্দায়। যদিও কম টিআরপি-র কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে সিরিয়ালের সফর।
তবে এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে রুকমা জানান রহস্য তার পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। তাই লালকুঠির পর এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও সাহানা দত্তের লেখা আসন্ন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারেও রহস্য পিছু ধাওয়া করেছে তাঁর। প্রসঙ্গত দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ মানেই সকলের হাঁড়ির খবর টেনে বার করে আনেন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তা ব্যতিক্রম হয়নি রুকমার ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী বন্ধুদের সাথে ঘুরতে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন। সে কথা উঠতেই কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান তিনি তার মা-বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। আর একথা শুনেই মজার চলেই রুকমাকে খোঁচা দিয়ে রচনা বলেন ‘নিজের যাচ্ছে থাইল্যান্ড আর মা-বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে পুরুলিয়া। আর এই বিষয়টিই একেবারে ভালো চোখে নেননি দর্শকদের একটা বড় অংশ।
তাই এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে এমনই একজন অনুরাগী সঞ্চালিকা রচনাকে একহাত নিয়ে মন্তব্য করেছেন ‘পুরুলিয়া কি থাইল্যান্ডের চেয়ে খারাপ? তির্যক হাসি কেন? নিজের দেশকে ভালবাসতে জানেন না। আপনারা ধান্দাবাজ। রূপ আর কথা বিকিয়ে খান। প্রকৃত শিক্ষা কম। নিজেদের সবজান্তা মনে করেন’।