ফেসবুকে তাকে লোকে ‘পাগল’ বললেও মজার ছলে তিনি যেসমস্ত কথা বলেন তাতে থাকে তীব্র রাজনীতি। কথা হচ্ছে ইউটিউবার তথা সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রোদ্দুর রায় (Roddur Roy) কে নিয়ে৷ যেকোনও অগ্নিগর্ভ বিষয় নিয়েই নিজের মতোন করে বক্তব্য রাখেন রোদ্দুর রায়। হাতে জ্বলন্ত জয়েন্ট নিয়ে লাইভে আসেন তিনি। আর তারপরই অপছন্দের বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। দিন কয়েক আগেই নেটমাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করেছিলেন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য৷ রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি বিকৃত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমনকি কেকের মৃত্যুর পর রূপঙ্করকেও সর্ব সমক্ষে তীব্র গালিগালাজ করতে শোনা যায় তাঁকে অবশ্য ইতিমধ্যেই তার খেসারতও দিচ্ছেন রোদ্দুর। আজ দুপুরেই গোয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু হয়ত অনেকেই জানেন না, যেই রোদ্দুর রায়কে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি সেটি একটি অবয়ব মাত্র, এর বাইরে সম্পূর্ণ একটা অন্য মানুষ তিনি।
তাঁর আসল নাম অনির্বাণ রায়। নিজেকে তিনি পরিচয় দেন ‘মোক্সা’ হিসেবে। সংস্কৃত শব্দ ‘মোক্ষ’ থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি। মুক্তি, প্রেম ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই তার লক্ষ্য। নাগরিক মানুষকে তিনি সমস্ত বন্ধন থেকে করতে চান স্বাধীন। এই বিষয়ে বাংলায় ‘মোক্সা রেনেসাঁ’ নামে একটি উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। বেশির ভাগ সময়ই তার লেখা থেকে ঝরে পড়ে শ্লেষ।
সমাজ মাধ্যমে তাকে দেখে লোকে হাসাহাসি করলেও আদতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কেরিয়ারের নজির কিন্তু যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর দিল্লিতে আইটিতে চাকরি। চাকরি ছেড়ে তিনি এরপর সাইকোলজি নিয়ে গবেষণা করেন। এছাড়াও মনোবিজ্ঞানের উপরে রোদ্দুর রায়ের লেখা একটি বই তিনি লিখেছেন, যার নাম ‘অ্যান্ড স্টেলা টার্নস আ মম’। তিনি নিজেকে ‘বিশ্যোকোবি’ বলে দাবি করেন।