কমার্শিয়াল ঝাঁচকচকে সেটে বাংলা ছবির পাশাপাশি আজকাল পাল্লা দিয়ে চলছে আর্ট ফিল্ম, স্বাধীন গল্প। এখন আর কেবল বাংলা ছবি মানেই নাচ, গান, বা হাসি ঠাট্টা নয়৷ বাংলার অন্যধারার ছবিতে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন টলিউডের ‘শ্রীকান্ত’ ওরফে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।
বাংলা থিয়েটার দিয়েই অভিনয়ে হাতিখড়ি অভিনেতার। তারপর ২০০৮ সালে রুদ্রনীল ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্রস কানেকশন সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় আসেন অভিনেতা। নায়ক সুলভ চেহারা বলতে যা বোঝায় অর্থাৎ উঁচু লম্বা, গাল ভর্তি দাঁড়ি, বা মাসল এই সবের কোনোটিই নেই। কিন্তু তবুও তার আসল পরিচয় তার অভিনয়েই।
শ্রীকান্ত হোক বা বাবাই দা সব চরিত্রেই তিনি সাবলীল। আবার রোমান্স হোক বা থ্রিলার, গোয়েন্দা হোক বা পুলিশ সমস্ত রোলেই ম্যাজিশিয়ান তিনি।তাই সিনেমা বোদ্ধাদের কাছে খুবই পছন্দের অভিনেরা ঋত্বিক। নগরকীর্তন, শ্রীকান্ত, পরিণীতা, বা শাহজাহান রিজেন্সি সমস্ত ছবিতে তার তুখোড় অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ঋত্বিক হল ‘ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল’।
কিন্তু খ্যাতি কখনোই তখনও গ্রাস করে ফেলেনি। নিজেকে এক্কেবারে মাটির মানুষ করে রেখেছিলেন অভিনেতা৷ তিনি সবসময় সাদামাটা, নির্ভেজাল জীবন পছন্দ করেন। নিজের লুক, বডি এসব নিয়েও তার খুব একটা ভাবনা চিন্তা নেই। সম্প্রতি, ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা যেখানে দেখা গিয়েছে তিনি নিজের ঘরে বসে রয়েছেন। পিছনে সাজানো গাছ। এই ছবি পোস্ট করে ঋত্বিক চক্রবর্তী লিখলেন, এই ভাল সাদা কালো।
কিন্তু নিজের সাজসজ্জাহীন ছবি মোটেই পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। তাই তার ছবিতে এক জনৈক নেটিজেন কমেন্ট বক্সে লিখলেন, “আপনার গ্রুমিং দরকার!” তিনি আরও লেখেন, “আপনার অভিনয় খুবই ভাল লাগে। কিন্তু আপনার একটা সমস্যা আপনি নিজের গ্রুমিংয়ের প্রতি একটু খেয়াল রাখুন। হয়তো আপনার মনে হয় যে গ্রুমিংয়ের দরকার নেই। সেটা ভুল। গ্রুমিংয়েরও দরকার আছে বস!”
তবে ঋত্বিক ও সেই নেটিজেনকে হালকা কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘গ্রুমিং মানে কি আমার অভিনয়, অভিজ্ঞতা, উচ্চারণ, মানুষকে দেখা, শেখা, বোঝা, জানা এগুলো নিয়ে বলছেন নাকি ত্বক, চুল, পেশি নিয়ে বলছেন? সেটা তো বলুন একটু শিখেনি এই সুযোগে। মানে নিজের গ্রুমিং বলতে ঠিক কী?’