• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

রেখার জন্য শেষ করেছিলেন নিজেকে! সুইসাইড নোটে অভিনেত্রীকে নিয়ে একথা লিখে গেছিলেন স্বামী মুকেশ

বলিউডের নামী অভিনেত্রী রেখার (Rekha) কাজ নিয়ে যত চর্চা হয়, ততটাই চর্চা হয় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানো থেকে শুরু করে বিনোদ মেহরার সঙ্গে বিয়ে, রেখার জীবন যেন আস্ত একটা সিনেমা। তবে এখনও পর্যন্ত এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর জীবনের যে অধ্যায় অনুরাগীদের কাছে রহস্য হয়ে আছে, তা হল তাঁর স্বামীর আত্মহত্যা।

জানিয়ে রাখি, রেখার সঙ্গে বিয়ের মাত্র ১১ মাসের মাথাতেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী মুকেশ আগরওয়াল (Mukesh Agarwal)। সম্পূর্ণ দোষ এসে পড়েছিল অভিনেত্রীর ঘাড়ে। শুধু তাই নয়, মুকেশের একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল। যেখানে তিনি অভিনেত্রীর বিষয়ে লিখে গিয়েছিলেন।

   

Rekha and Mukesh Aggarwal

অভিনেত্রী হিসেবে রেখার কেরিয়ার শুরু হওয়ার কিছু সময় পরই মুকেশের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন তিনি। অল্প বয়সে বিয়ে করার জন্য রেখাকে নিয়ে সেই সময় বিস্তর চর্চা হয়েছিল। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রেখা এবং মুকেশের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এসবের মাঝেই একদিন রেখার ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর স্বামী।

এরপর সম্পূর্ণ ঘটনার দায় এসে পড়েছিল বলি অভিনেত্রীড় ওপর। সুইসাইড নোট পাওয়ার পর থেকে তো তাঁকে আরও বেশি করে দোষারোপ করা হচ্ছিল। মুকেশ নিজের সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন, ‘আমি আমার সম্পত্তি থেকে রেখার জন্য কিছু রেখে যাচ্ছি না। ও এতটাই সক্ষম যে নিজের জন্য ঠিক কামিয়ে নেবে’।

Rekha and Mukesh Aggarwal

মুকেশের মৃত্যুর পর রেখাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছিলেন। অনেকে তাঁকে ‘হত্যাকারী’ও বলেছিলেন। যদিও অভিনেত্রী নিজের তখন বন্ধ রেখেছিলেন। কয়েক বছর পর অবশ্য এই বিষয়ে তিনি নিজের মুখ খুলেছিলেন।

Rekha

স্বামীর মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বোলার সময় রেখা বলেছিলেন, আমি সবার প্রথমে সবাইকে এটা বলতে চাই ডিভোর্স আমি না মুকেশ চাইত। উনি আমার থেকে ডিভোর্স চেয়েছিলেন। হয়তো অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের জন্য আমার তাড়াহুড়ো করা ঠিক হয়নি। আমি কখনও সম্পর্কের ওপর হাল ছাড়িনি। যদি ওনার মনে হতো আমরা একে অপরের জন্য ঠিক না, তাহলে ওনার তখনই আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। যখন আমরা লন্ডনে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলাম, তখনই আমি আমাদের সম্পর্কের সত্যিটা জানতে পেরে গিয়েছিলাম’।