ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) নামটা বর্তমানে ছোট বড় সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। একসময় কাঁচা বাদাম (Kacha Badam)গানে ছেয়ে গিয়েছিল সর্বত্র। নেটপাড়া তো বটেই পাড়ার চায়ের দোকান, রেডিও থেকে পুজোর প্যান্ডেল এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চেও শোনা যাচ্ছিল কাঁচা বাদাম। ভাইরাল এই গানের আবিস্কারক হলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের ভুবন বাবু।
বাদাম বাদাম গানের জেরে ভাইরাল হতেই কপাল ফিরে গিয়েছিল রাতারাতি। একসময় সাইকেল কিংবা মোটর গাড়িতে করে বাদাম বিক্রি করতে বেরোতেন! কিন্তু সেই ছবি পাল্টে যায়, শিল্পী হয়ে ওঠেন রাতারাতি। গানের স্বত্ব বিক্রি করে আসে কয়েক লক্ষ টাকা। এরপর নিত্যনতুন শিল্পীদের সাথে যুগলবন্দী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে চারচাকা গাড়ি থেকে স্বপ্নের বাড়িও বানিয়ে ফেলেন তিনি।
একসময় মাটির কুঁড়েঘরে বাস করা ভুবন বাবু স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ওদের স্বপ্নের পাকা বাড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ ধাঁধানো বাড়ির ভিডিও লক্ষ লক্ষ ভিউ পেয়েছিল। সেখানেই দিব্যি সুখের সংসার করছিলেন তিনি। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে সাধের বাড়ি ছেড়ে নাকি সপরিবারে পালিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর।
কিন্তু কেন? নিজের টাকায় তৈরী বাড়ি ছেড়ে হটাৎ কোথায় চলে গেলেন তিনি? আর কেনই বা গেলেন? এর উত্তরে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। বর্তমানে নিজের বাড়ি থাকতেও গ্রাম ছেড়ে অচেনা জায়গায় ভাড়া বাড়িতে থাকছেন তিনি। কারণ সেলেব্রিটি ভেবে চলছিল চাঁদার জুলুম। কখনো নানা অজুহাতে তো কখনো ভয় দেখিয়ে ৫০০-১০০০ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে।
চাঁদা না দিলে মোবাইল নিয়ে পালাতো। এমন জুলুমের জ্বালায় শেষমেশ সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে অনত্র ভাড়া থাকছেন ‘বাদাম কাকু’। জানলে অবাক হবেন, বিগত ৫ মাস ধরেই নাকি ২৭০০ টাকা দিয়ে ভাড়া থাকছেন তিনি। এদিকে এখন নিজের গানই গাইতে পারছেন না, জুটছে কপিরাইট। তাই এভাবে আর কতদিন চলবে সেই নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভুবনবাবু।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের দুঃখের কথা জানিয়েছেন বাদাম কাকু। অভিযোগ জানান, ঠকে গেছি। নিজের গানই গাইতে পারছি না। বাদাম শব্দ উচ্চারণ করলেই জুটছে কপিরাইট।