বাংলা সিরিয়ালের সাথে বাঙালির সম্পর্ক কিন্তু আজকের নয়। বহুদিন ধরেই দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে সিরিয়াল। তাই সিরিয়াল মানেই বরাবরই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। আর দিনে দিনে দর্শকমহলে চাহিদাও বাড়ছে বাংলা সিরিয়ালের। তাই সকলের চাহিদা পূরণের কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত ভিন্ন স্বাদের সিরিয়াল নিয়ে আসছে বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলি। এখন তো সিরিয়াল দেখা দর্শকদের রোজকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
তাই পছন্দের সিরিয়ালের একটাও এপিসোড মিস করতে চাননা দর্শকরা। প্রিয় তারকাদের টিভির পর্দায় না দেখা পর্যন্ত যেন গোটা দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাদের। তাই ব্যস্ত সময় থেকে অবসর মিলতেই চায়ের কাপ হাতে মুখরোচক তেলে ভাজার মতো একের পর এক সিরিয়াল দেখতে টিভির সামনে বসে পড়েন সিরিয়ালের পোকা দর্শকরা। আর প্রতিদিন সিরিয়াল দেখতে দেখতে সিরিয়ালের চরিত্ররাও কবে যেন দর্শকদের একেবারে ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন।
দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয় এমনই এক সিরিয়াল হল খড়কুটো (Khorkuto)। তাই এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। একেবারে শুরু থেকেই বাঙালির যৌথ পরিবারের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিরিয়াল সহজেই মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। একটা সময় ছিল যখন সাপ্তাহিক টি আর পি রেটিং চার্টের একেবারে প্রথম দিকেই জায়গা করে নিয়েছিল এই সিরিয়াল হয়ে উঠেছিল স্লট লিডার। শিশুসুলভ গুনগুনের অভিনয় বরাবরই দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয়।
কিন্তু পরবর্তীতে গুনগুন (Gungun)- সৌজন্যের (Soujanya) খুনসুটি, ঝগড়া প্রেম কিংবা মুখার্জী পরিবারের মিষ্টি বাঙালিয়ানার পরিবর্তে সিরিয়ালে বড্ড বেশি একঘেয়েমি চলে আসে। একসময় সিরিয়ালে আনা হয় তিন্নির মতো খল চরিত্রও। এরফলে টিআরপি পড়তে থাকে সিরিয়ালের। কিছুদিনের মধ্যেই সন্ধ্যা সাতটার প্রাইম টাইম স্লট হারিয়ে একেবারে দুপুরে চলে আসে এই সিরিয়ালের সম্প্রচারের সময়। সম্প্রতি এই সিরিয়ালের অন্যতম অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee) এর অকাল মৃত্যুর পর থেকে নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে এই সিরিয়াল।
প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই এই সিরিয়ালে গুনগুন অভিনেত্রী তৃণা সাহাকে (Trina Saha) কথা বলার সময় তোতলাতে দেখা যাচ্ছে। যা দেখে দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগে তৃণা কি আসলেই তোতলা? অনেকে আবার না জেনেই ট্রোল করা শুরু করেছিলেন তৃণাকে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজে তোতলা নন। কিন্তু খড়কুটোয় তার ড্যাডি অর্থাৎ অভিষেককে একটু তোতলা ছিলেন। আর এই কারণে তিনিও তুতলে কথা বলতে শুরু করেছেন। যাতে দর্শকের মনে হয় তাদের মধ্যে জেনেটিক কানেকশন আছে। তৃণার এই মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।