বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) তথা টলিউডের (Tollywood) একজন দাপুটে অভিনেতা হলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। আশির দশকে একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে বাংলা সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে চিরঞ্জিৎ অভিনয় করেছেন কম করে ২০০টা সিনেমায়।
দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে তাঁর ঝুলিতে একদিকে যেমন রয়েছে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’র মতো সিনেমা তেমনি রয়েছে ‘অবৈধ’, ‘বাড়িয়ালি’ কিংবা ‘চতুষ্কোণ’-এর মত সিনেমাও। তবে শুধু অভিনয় নয় সেই সাথে বেশ কয়েকটা সিনেমা পরিচালনাও করে ফেলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি চিরঞ্জিতের রয়েছে ছবি আঁকা এবং কবিতা লেখার শখ।
এছাড়া সামাজিক হোক কিংবা রাজনৈতিক যে কোন বিষয়ে মন্তব্য করে হামেশাই শিরোনামে উঠে আসেন এই প্রবীণ অভিনেতা। তাই তিনি যেমন বন্ধুসম অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরোধী দলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন তেমনি মন্তব্য করেন মেয়েদের ছোট স্কার্ট পরা নিয়েও। সম্প্রতি এই ঠোঁটকাটা অভিনেতার কাছেই হাজির হয়েছিল জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল সিটি সিনেমার বিখ্যাত ঠোঁটকাটা সেগমেন্ট।
সেখানেই এদিন নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে। প্রসঙ্গত সকলেই জানেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর আরেক নাম দীপক। অভিনয় আসার আগে তিনি স্বেচ্ছায় নিজের নাম পরিবর্তন করে চিরঞ্জিৎ করেছিলেন। কারণ তিনি মনে করেন তাঁর মধ্যে দুটো সত্তা রয়েছে। এক চিরঞ্জিৎ দুই দীপক।
চিরঞ্জিৎ এমন একজন মানুষ যে কমার্শিয়াল সিনেমা করে। আর দীপক ছবি আঁকে, কবিতা লেখে আবার ভালো সিনেমাও বানায়। প্রসঙ্গত বাংলা সিনেমায় উত্তম কুমার পরবর্তী যুগে প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একসাথে নাম নেওয়া হতো প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিৎ এবং তাপস পালের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন একমাত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিরঞ্জিৎ এদিন জানিয়েছেন তাঁর নিজের কোন আফসোস নেই। আর তাছাড়া তিনি নাকি কোনদিনই সিনেমাকে সিরিয়াসলি নেননি। কিন্তু প্রসেনজিতের কাছে সিনেমাই সব। তাই চিরঞ্জিৎ এদিন বলেছেন প্রসেনজিতকে এখন তার সত্যিই ইন্ডাস্ট্রি মনে হয়।
এছাড়া এদিন মুনমুন সেনের সাথে তাঁর ‘লাভ হেট’ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে চিরঞ্জিত জানিয়েছেন ‘অমরকন্টক’সিনেমার একটি মজার ঘটনার কথা। অভিনেতার কথায় ওই সিনেমার একটি দৃশ্য ছিল যেখানে মুনমুন তার পায়ে কামড় দিয়ে সাপের বিষ তুলবে। এই দৃশ্য করতে গিয়ে নাকি মুনমুন তাঁর পায়ে সত্যিই কামড়ে রক্ত বার করে দিয়েছিলেন। তাইএই শট শেষ হতেই ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে লাথি মেরেছিলেন চিরঞ্জিৎ।