‘খড়কুটো (Khorkuto)’ বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে এই একটি সিরিয়াল বেশ মন কেড়েছে দর্শকদের। সন্ধ্যা হলেই টিভির সামনে খড়কুটো পরিবারকে দেখার জন্যই ব্যাকুল হয়ে বসে পড়েন দর্শকেরা। সিরিয়ালে গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করছে অভিনেত্রী তৃণা সাহা। অন্যদিকে গুনগুনের বর সৌজন্যের চরিত্রে রয়েছে কৌশিক রায়। শুধুই যে পারিবারিক ড্রামা রয়েছে তা কিন্তু নয়। গুনগুনের পাগলামির সাথে সৌজন্যের রাগ মিলেমিশে কখন যে ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হচ্ছে সেটাই দেখার।
তবে গুনগুন সৌজন্য ছাড়াও বাড়ির প্রতিটা সদস্যই সমান ভাবে মন কেড়েছে দর্শকদের। সে পটকা হোক, জ্যাঠাই হোক বা ভজনবাবু। কিন্তু সম্প্রতি খড়কুটো পরিবারের সমস্ত আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ধার করেছিল সৌজন্যের বাবা ভজনবাবু। কিন্তু সেই টাকা শোধ না করতে পারে বাড়ি বয়ে এসে অপমান করে গেছে পাওনাদাররা। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেনা করেছেন ভজনবাবু একথা কারোরই জানা ছিল না।
কেন এতগুলো টাকা ধার করেছিলেন তিনি? এই প্রশ্ন যখন বাড়ির সকলের মুখে মুখে তখন নিশ্চুপ ভজনবাবু। তার এই নিস্তব্ধতা বাড়ির সকলের মনে নানান রখম প্রশ্নের সৃষ্টি করে। অনেক খারাপ কথা শুনতে হয় ভজনবাবুকে। তবে এবার সেই টাকা ধার করার আসল কারণ সামনে এসেছে। নিজের গানের সিডি বের করার জন্যই নাকি সেই টাকা ধার করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন গানের সিডি বের করে বেশ নাম হবে।
View this post on Instagram
শুধু তাই নোই, খ্যাতির সাথে অনেক টাকাও পাওয়া যাবে। যা দিয়ে ধার মিটিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু সে আর হলো না। সিডি বিক্রি না হওয়ায় টাকাও পরিশোধ করতে পারেননি ভজনবাবু। আর সেই কারণেই পাওনাদারের কাছ থেকে এতো অপমান সহ্য করতে হল তাকে! এবার এমন এক কারণ কি আর বাড়ির লোক কে বলা যেতনা আগে? এই নিয়েই উঠছে আসল প্রশ্ন, আর আসল কারণ জানতে পেরে কিছুটা খারাপ লাগলেও অনেকে আবার হেসেই ফেলেছেন কারণ শুনে।