হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতেই প্রয়াত হয়েছেন রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’খ্যাত রাবন অরবিন্দ ত্রিবেদী। জানা গেছে মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২। উনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ। উল্লেখ্য রাবণ চরিত্রের পর তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে আজ এত বছর পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি এক ফোঁটাও।
তবে অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০২-২০০৩ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড (Central Board of Film Certification)-র চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। জানা যায় সেই সময়েই একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। একবার জনপ্রিয় অভিনেতা দেবানন্দের ভাই তথা বিখ্যাত পরিচালক বিজয় আনন্দের সাথে বিরাট ঝামেলা হয়েছিল তাঁর। তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে অরবিন্দ বিজয়ের নাম শুনলেই রেগে যেতেন।
তিনি একবার বিশেষ সিনেমা হলে ‘সফট পর্ন’ দেখানোর বিষয়ে অরবিন্দ ত্রিবেদীর সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এমন প্রস্তাব শোনামাত্রই এককথায় নাকচ করে দেন তিনি। জানা যায় তিনি সেসময়, বিজয়ের কোনও যুক্তিই শুনতে চাননি। অরবিন্দের এমন ব্যবহারের পরেই সিবিএফসি-থেকে সেই সময় পদত্যাগ করেছিলেন বিজয়।
এপ্রসঙ্গে ২০০৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে অরবিন্দ জানিয়েছিলেন, ‘ওর কথায় আমি ফুলস্টপ লাগিয়ে দিয়েছিলাম, কারণ আমি মনে করতাম জনসাধারণের বিনোদন হবে স্বাস্থ্যকর, যা সফট পর্ন কখনোই নয়।’ এর আগেও ২০০২ সালে এক সাক্ষাৎকারে পর্দায় চুমু খাওয়া নিয়ে অরবিন্দ বলেছিলেন, ‘মা-ছেলে বা ভাই-বোন চুমু খেতেই পারে। তবে ভালোবাসার কারণে একজন নারী আর পুরুষের চুমু খাওয়া দেখানো মেনে নেওয়া যায় না!’
কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন ‘এটা সমাজের কিছু নিয়ম-নীতিকে লঙ্ঘন করে, অবমাননা করে।’ অভিনেতার মৃত্যু প্রসঙ্গে অরবিন্দের ভাগ্নে বলেছিলেন, তিনি গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতাও ছিল না। এমনকী, কিছুদিন আগেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য অভিনয় ছাড়াও একসময় রাজনীতির ময়দানেও পা রেখেছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।