বাংলার বিনোদনের কথা বলতে গেলে যে সিরিয়াল সবার আগে আসে সেটা হল ‘মিঠাই’। পরিবারের সকলকে যেমন আপন করেছে মিঠাই তেমনি বাড়ির সকলেও মিঠাইকে আপন করে নিয়েছিল। যেমন দুস্টু তেমনি মিষ্টি চরিত্রের মেয়ে মিঠাই। কিন্তু তার কপালেই কিনা এমন দুর্গতি! এই কারণেই দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে মিঠাই। কিন্তু এবার সিরিয়ালের মোড় ঘুরেছে অন্যদিকে মিঠাইয়ের মতোই কি জীবন হতে চলেছে মোদক বাড়ির মেয়ে শ্রীতমার?
পরিবারের সন্মান বাঁচাতে শ্রীতমা রাজি হয় রাতুলের সাথে বিয়েতে। কিন্তু বিয়ে হলেও রাতুলের মন মেনে নিতে পারছে না শ্রীতমাকে। বিয়ের পর এবার ফুলশয্যার পালা চলছে সিরিয়ালে। ফুলশয্যার রাতে শ্রীতমা বাড়ির কাউকে নিজের ও রাতুলের সম্পর্কের সত্যি না জানিয়েই অভিনয় করতে থাকে। বাড়ির লোক ভাবে দুজন দিব্যি খোস গল্প জুড়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়, শ্রীতমা বাড়ির লোকের মনে কষ্ট দিতে চায়না তাই এমন অভিনয় করেছে।
এরপর শ্রীতমা রাতুলকে বলে একটা বছর যেন তার সাথে অভিনয় করে সে। কারণ একবছরের আগে ডিভোর্স দেওয়া যাবে না। এই কথা শুনে চমকে উঠেছে রাতুল। এরপর শ্রীতমা আরো বলে যে সে বোঝে তার সাথে বিয়ের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারছে না রাতুল। তাই একবছর পর ডিভোর্স দিয়ে নিপার সাথে রাতুলের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেবে সে নিজেই।
অর্থাৎ রাতুলের মনে শ্রীতমার জন্য দরজা যে প্রায় বন্ধই তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সে। কিন্তু ধীরে ধীরে যেন রাতুলের মন ও গলতে শুরু করেছে। অন্তত সাম্প্রতিক এপিসোডে সেই নজিরই মিলবে। দেখা গেল, অন্ধকার ঘরে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার ফলেই হয়ত ভুতের গল্পের আসর জমিয়েছিল হল্লা পার্টি।
সেখানে চা নিয়ে জমিয়ে চলছিল আড্ডা গল্প। নিপা, রাতুল, শ্রীতমা, রাজীব, সিড, মিঠাই সকলেই ছিল মুডে। আর গা ছমছমে অন্ধকার, ঝড় বৃষ্টির রাতে মিঠাই সকলের কাছে তার সাহেব ভুত দেখার অভিজ্ঞতা বলছিল, আর তাতেই বেজায় ভয় পেয়ে রাতুলের হাত চেপে ধরে শ্রীতমা। শ্রীতমার ছোঁয়া পেয়ে রাতুলও যেন একটু আবেগে ভেসে যায়।