প্রতিভা রয়েছে ভরপুর, কিন্তু গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের ঝকঝকে দুনিয়ায় সেভাবে মানিয়ে উঠতে পারেননি রানু মন্ডল (Ranu Mondal)। তার কাছে সুযোগ এসেছে বেশ কয়েকবার কিন্তু তিনি ধরে রাখতে পারেননি কোনোওদিনই। একসময় লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। লোকে লতাকন্ঠী নাম উপাধি দিয়েছিল তাকে। সেদিনের মত জনপ্রিয়তা যদিও এখন আর নেই।
রানাঘাটের স্টেশনের ধরে ভিক্ষা করেই দিন কাটত রানু মন্ডলের। এরপর একদিন তাঁর গানের ভিডিও মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেন এক ব্যক্তি সেটাই ভাইরাল হয়ে যায়। রানুদির গান পৌঁছে যায় মুম্বাইতে, হিমেশ রেশমিয়া নিজে তাঁর সাথে ‘তেরি মেরি’ গান রেকর্ডিং করেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা পেয়ে নাকি অহংকার বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। তাই যেমন রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তেমনি হারিয়েও গিয়েছেন।
এছাড়াও তার আলটপকা মন্তব্য করার স্বভাব সম্পর্কে সকলেই অবগত। কিন্তু তার এই ভুলভাল কথাই যে এই সময়ের ট্রেন্ড হয়ে যাবে তা তিনি নিজেও ভাবেননি রানু মন্ডল। মাঝে বেশ কিছুদিন তার এই ভুলভাল মন্তব্যের জেরে তাকে নিয়ে সমালোচনা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন তার ব্যবহারে।অনেকেই বলেন রানুর মানসিক সমস্যা রয়েছে, সে কারণেই না বুঝেই অনেক মন্তব্য করে বসেন তিনি। একারণে তার কাজ ও হারিয়েছে অনেক।
আজকাল তার ভাঙাচোরা বাড়িতে লেগেই থাকে ইউটিউবারদের আনাগোনা। তাকে রাগিয়ে দিয়ে খিল্লি খোরাক নিতেই তারা আসেন। কিন্তু কখনোই তাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে দেখা যায়না কাউকেই। তাদের সাথে আলাপচারিতায় নানান বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন রাণু, আর তা ভাঙিয়েই ভিউজ সাবস্ক্রাইবার কোড়ান ইউটিউবাররা।
সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও প্রকাশ্যে এল, একদল যুবক রাণুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের সাথে লাল টিশার্ট পরে, উস্কোখুস্কো চুলে একের পর এক গল্প জুড়লেন তিনি। তাদের কাছেই রানুর দাবি, তার বাড়িতে সালমান খান এসে ডুয়েট নেচেছিলেন। এমনকি অনিল কাপুরও নাকি তার বাড়িতে এসেছিলেন৷ তার এই মন্তব্য শুনে হেসে গড়িয়ে পড়লেন নেটিজেনরা।