সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আগের বার তুমুল ভাইরাল হয়েছিল রানু মন্ডলের গান। রানাঘাটের স্টেশন চত্ত্বরের এক ভিক্ষুক রাতারাতি হয়ে ওঠেন সেলিব্রিটি। কিন্তু আগে তার দিন চলত ভিক্ষা করেই, কখনো একবেলা খাওয়ার জুটতো, কখনও সেটাও জুটতো না। কিন্তু সেসবের ধার না ধেরে তিনি গানকেই করেছিলেন সম্বল।
হঠাৎ তার ভাগ্য ফেরে। রানাঘাট স্টেশন থেকে সোজা তার গান পৌঁছে যায় পৃথিবীর আনাচে কানাচে। তার গলায় ‘পেয়ার কা নাগমা হ্যাঁ’র প্রেমে মজেছিলেন গোটা দেশ। অতীন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি সেই গান ক্যামেরা বন্দী করে ফেসবুকে শেয়ার করতেই তা নিমেষে ভাইরাল হয় নেটপাড়ায়।
তারপর তার গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন স্বয়ং হিমেশ রেশমিয়া। এরপর হিমেশ সেই প্রতিভাকে পৌঁছে দেন সারা বিশ্বের দরবারে। রানুর সঙ্গে ডুয়েটে তিনি গান ‘তেরি মেরি কাহানি’। আর তার সেই গান আগের বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছে সমস্ত পুজো মন্ডপে।
কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রানু মন্ডলের অবস্থা ফের শোচনীয় হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আবার নাকি ভিক্ষা করেই দিন চলছে তার। মেয়েও নাকি তার খোঁজ খবর নেন না। সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।
তাকে অহংকার নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন, একদল মানুষ সরলতাকে অহংকার ভেবে ভুল করে। তার দুর্বলতাকে মানুষ অহংকার বলে দাগিয়ে দিয়ে তার নামে কুৎসা রটাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আপাতত সেই পুরোনো ছন্দেই দিন কাটছে তার, রেডিও চালিয়ে গুনগুন করছেন তার প্রিয় গান।