বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হলেন রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)। ছোটো পর্দা থেকে বড় পর্দা উভয় ইন্ডাষ্ট্রিতেই দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে কিন্তু দর্শকমহলে বেশ ভালোই ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে অভিনেতার। দেখতে দেখতে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ বছর কাটিয়ে ফেলছেন রণজয়। ইদানিং স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘গুড্ডি’ সিরিয়ালে আইপিএস অফিসার অনুজ চট্টোপাধ্যায়ের (Anuj Chatterjee) চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
একসময় আরও একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে এই সিরিয়ালের হাত ধরেই দীর্ঘ ৯ বছর পর আরও একবার ছোটপর্দায় ফিরছেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। পুজোর আগেই অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে রণজয় বিষ্ণু অভিনীত আসন্ন সিনেমা ‘সীমান্ত’ (Simanto) । ছোট পর্দার মতো এই সিনেমাতেও তিনি একজন আইবি পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতিএবিপি লাইভ-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন অভিনেতা। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তাকে কি কসরত করতে হয়েছিল? উত্তরে অভিনেতা জানিয়েছিলেন তার লুকের জন্য তাকে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য খুব একটা খাটতে হয় না।
পরিবর্তে তাকে যদি কোনদিন ভিখারির চরিত্রে অভিনয় করতে হয় তাহলে তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে তার লুকের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি করে ফুটিয়ে তোলার দরকার বলে মনে করেন ছোট পর্দার অনুজ। অভিনেতা জানিয়েছেন একজন আইবি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তাকে একজন অফিসারের খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে জানতে হয়েছে।
এ কারণে তিনি কয়েকজন অফিসারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে তার চরিত্রটাকে ভালোভাবে রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। অভিনেতা জানিয়েছেন সিনেমাটিতে বেশ কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যেখানে বাড়ির জামাকাপড় পড়েই শুটিং করেছিলেন। এছাড়া গোটা সিনেমাটাই তিনি অভিনয় করেছেন কোনও রকম মেকআপ ছাড়া।
এমনকি শট দেওয়ার আগে রোদে চড়া রোদেও পুড়েছেন তিনি। আর সবটাই তিনি করেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে, যাতে তার চরিত্রটি আরও অনেক বেশি বাস্তব থেকে উঠে আসা একটি চরিত্র মনে হয়। জানা গেছে এই সিনেমায় বেশিরভাগ সংলাপ রয়েছে ইংরেজিতে। এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে রণজয় জানিয়েছেন এই ছবিটা এমন কিছু মানুষের গল্প করে যারা নিজে দেশকে ভালোবেসে কাজটা করে।