বাংলা সিরিয়ালে এখন নিত্যনতুন সিরিয়ালের মেলা। তবে এখনকার দিনে বাংলা সিরিয়াল ছাড়াও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বেশ কিছু নন ফিকশন শো। আর এখনকার দিনে এই ধরণের নন ফিকশন শোয়ের তালিকায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের কুকারি শো। আর ইদানিং দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty) সঞ্চালিত কালার্স বাংলার এমনই একটি কুকারি শো ‘রান্নাঘরের গপ্পো’ (Rannaghorer Goppo)।
নিরামিষ হোক বা আমিষ সবেতেই নতুন পুরনো মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে অভিনব সব রেসিপি। কিছুদিন আগেই রান্নার এই অনুষ্ঠানে অভিনব বাঁধাকপির রেসিপি ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’ দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যাপক ট্রোলিং(Trolling)-য়ের মুখে পড়েছিলেন এই শোয়ের নির্মাতারা। নাম দেখেই করজোরে প্রণাম করেছিলেন অধিকাংশ মানুষ। কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছিল নানান মজার মন্তব্য।
মজার ছলে কেউ লিখেছিলেন ‘আজ বাঁধাকপি তার মনের দুঃখে এত বড় একটা স্টেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। তাই জনসমক্ষে প্রার্থনা রইল পেঁয়াজ আজীবন ধরে তার দুঃখের জীবন নিয়ে কেঁদেই চলেছে। সে যেন মনের দুঃখে কখনো এইরকম স্টেপ না নেয়, তার দিকে লক্ষ্য রাখা হোক’। আবার কেউ লিখেছেন ‘শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিয়ে মরলো। খবরটা শুনে খারাপ লাগলো। যাই হোক মুলো জলে ডুব দিলে জানাবেন আবার’।
আর এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ‘রান্নাঘরের গপ্পো’র নতুন সংযোজন ‘খাসির মাংসের জেলি’ (Khasir Mangsher Jelly)। এমনিতে বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। আর পাঁঠার মাংসের প্রতি বিশেষ করে পাঁঠার মাংসের ঝোলের প্রতি এক আলাদাই ভালোবাসা রয়েছে কমবেশি সকলেরই। কিন্তু এবার সেই সাধের খাসির মাংসের এমন হাল দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন দর্শকরা।
কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছে সেই মজার মন্ত্যব্য। কেউ লিখেছেন ‘এবার থেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে পাউরুটির সঙ্গে জ্যামের জেলি না দিয়ে মাটনের জেলি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে হবে’। আবার কেউ লিখেছেন ‘খাসিটা কোনোদিন ক্ষমা করবেনা! একটা প্রাণী জীবন দিয়ে দিলো, আপনারা তার এই মূল্য দিলেন? শেষে কিনা জেলি’!