বাংলা টেলিভিশনে টিআরপির অভাবে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়। প্রায় প্রত্যেই সপ্তাহেই একটি করে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে টিআরপির এই কড়া লড়াইয়েও কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে সুপারহিট জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ (Rannaghor)। ১৭ বছরে ৫০০০ পর্ব পার করে ফেলেছে এই সুপারহিট শো।
আর বিশেষ দিন উপলক্ষ্যেই উদযাপনে মেতেছিলেন ‘রান্নাঘর’এর সম্পূর্ণ টিম। কেক কেটতে, চিংড়ি, ইলিশ দিয়ে হল একেবারে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া। শোয়ের এই বিশেষ দিনে সঞ্চালিক সুদীপা কী বলছেন? এই ক’বছরে সুদীপা মুখোপাধ্যায় থেকে চট্টোপাধ্যায় হয়েছেন। জন্ম হয়েছে তাঁর ছেলের। তাঁর জীবনে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
‘রান্নাঘর’এর ৫০০০ পর্বের উপলক্ষ্যে একটি নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে সুদীপার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সঞ্চালিকা বলেন, ‘আমরা যে ৫০০০ পর্ব ছুঁয়ে ফেলেছি তা নিজেরাই জানতাম না। সম্পাদক মনে করিয়েছেন’।
সুদীপা বলেন, ‘বাড়ি থেকে শিলনোড়া, মিক্সি, বটি নিয়ে আমরা প্রথম পর্বের শ্যুটিং করেছিলাম। কোনও তারকাই আসতে চাইতেন না। আমাদের তখন কেউ গুরুত্বই দিতেন না। তবে সেই সময় যারা আমাদের মেক আপ, হেয়ার করতেন, তাঁরা এখন অনেক উঁচুস্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষরাও তারকাদের মতো টিভিতে আসবেন, নিজেদের মনে কথা বলতে পারবেন। আমাদের মধ্যে সেই ভাবনাই কাজ করছিল’।
‘রান্নাঘর’এর সঞ্চালিকা এখানেই থামেননি। সুদীপার সংযোজন, ‘ছেলের জন্মের পর যদিও ২ বছরের একটা বিরতি হয়েছিল। তবে আমার ধারণা অপাদির (অপরাজিতা আঢ্য) হাত ধরে কেউ প্রশ্ন করতে পারবেন না তোমার বর কেমন আছে? কিন্তু আমায় পারবেন। কারণ প্রত্যেকে আমার মধ্যে একটা বাড়ির মেয়ের মতো গন্ধ পায়’।
সবশেষে সুদীপা হাসতে হাসতে বলেন, ‘এত বছরে নিজের মধ্যে একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি যে আমি তখনও যেমন বোকা ছিলাম, এখনও কিন্তু ঠিক তেমনটাই রয়ে গিয়েছি’। আপাতত ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালিকা তাঁর বাড়ির পুজো নিয়ে ব্যস্ত। একেবারে লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে ফের শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরবেন তিনি।