বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দাপুটে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক সহ বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের একাধিক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী তিনি। ১৯৭০ সালে বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবিতে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন তখনকার যুবক রঞ্জিত মল্লিক।
সেই থেকেই রুপোলি পর্দায় হাতেখড়ি হয় এই দাপুটে অভিনেতার। ‘মৌচাক’ (Mouchak)-এর সেই তরুণ রঞ্জিত মল্লিক দেখতে দেখতে নিজের অভিনয় জীবনের দীর্ঘ ৫০ বছর অতিক্রম করে ফেলেছেন। স্বর্ণযুগের কিংবদন্তিদের কাছ থেকে দেখা থেকে শুরু করে আজকের কমার্শিয়াল সিনেমার উত্তরণ পুরোটাই চাক্ষুষ দেখেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বর্ষীয়ান অভিনেতা জানান ‘আর্ট ফিল্ম বা কমার্শিয়াল, দু ধরনের ছবির প্রতিই আমার ভালোবাসা রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা ভালো করে চলার জন্যও কমার্শিয়াল ছবির প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবি বদলেছে, ছবির বিষয় বদলেছে।’ সেইসাথে অভিনেতার আরও সংযোজন ‘আগেও ভালো মন্দ মিশিয়ে ছবি হত, এখনও হয়। তবে তুলনা করলে আগের ছবিই বেশি ভালো ছিল।’
বাংলার সিনেমার এই দুই যুগের তুলনার প্রসঙ্গ উঠতেই নিজের মতামত জানিয়ে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার আরও সংযোজন ‘তপন সিংহ, ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে অন্তত ২ ডজন ভালো পরিচালক ছিলেন। সেই সংখ্যাটা এখন কমে গিয়েছে।’ শুধু তাই নয় আজকের দিনে এসে রঞ্জিত মল্লিকের আফসোস ‘আগে বিষয়বস্তুতেও একটা বাঙালিয়ানা ছিল, এখন সেটা আর নেই। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক উন্নতি হলেও ভালো পরিচালকের সংখ্যা কমে গিয়েছে তা অনস্বীকার্য।’
শুধু তাই নয়, এই বর্ষীয়ান অভিনেতার দাবি , ‘বর্তমান ছবি বড্ড বেশি আরোপিত হয়ে গিয়েছে। ইংরাজিতে একটা কথা আছে ‘থ্রি ইজ আ ক্রাউড’ (Three’s a Crowd)। দুজন প্রেম করছে, তার মধ্যে তৃতীয় কেউ এলে সেটাকে ক্রাউড বলে। দুজন প্রেম করছে আর তার পিছনে ১০০ জন টাই পরা ছেলে মেয়ে নাচ করছে, এটা আমার ভীষণ বোকার মতো আর অযৌক্তিক বলে মনে হয়।’