বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির মধ্যে অন্যতম হল জি বাংলার ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ (Karunamoyee Rani Rashmoni) এই সিরিয়ালে এমন অনেক চরিত্র এসেছে সময় মেনে যাদের পাঠ চুকে গেলেও দর্শকদের মধ্যে আজও তারা সমান জনপ্রিয়। এই সিরিয়ালের এমনই একটি চরিত্র হল বাবু রাজচন্দ্র দাসের চরিত্র। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বাংলাদেশী অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর (Gazi Abdun Nur)। রাজচন্দ্রের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দক্ষতা আজও ভোলেননি এপার বাংলার মানুষ।
এদেশের মানুষকে ভুলতে পারেননি অভিনেতা নিজেও। বর্তমানে বাংলাদেশে চুটিয়ে অভিনয় করলেও অভিনয় করার জন্য আবারও ভারতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেতা। মাঝে মধ্যেই নানান পোস্ট করেন তিনি। সবসময় হাসিখুশি থাকলেও প্রয়োজনে তিনিও রাজচন্দ্রের মতোই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে থাকেন। সম্প্রতি তাঁর এমনই এক প্রতিবাদী রূপ দেখলেন নেটিজেনরা।
বাংলাদেশে বসে যারা ক্রমাগত পাকিস্তানের গুণগান করছেন, তাদের কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন নূর। সেইসাথে ভারতবর্ষের প্রতি তাঁর সম্মান নিয়েও যাদের আপত্তি তাদের বিরুদ্ধেও এদিন সরব হয়েছেন অভিনেতা। এপ্রসঙ্গে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রজন্মের যারা পাকিস্তান পছন্দ করেন অথবা আগামী প্রজন্মের যারা পাকিস্তানকে পছন্দ করবেন তার অবশ্যই বংশপরম্পরায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঔরসজাত সন্তান।’
সেইসাথে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছেন ‘যারা বাংলা ভাষা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি তাদের প্রতি প্রেম মুসলিমত্ব এর দোহাই দিয়ে! তারা মুসলিম কিনা জানিনা তবে অবশ্যই মানুষ নয়।’ জানা যায় অভিনেতার মা, বাবা, ছোট কাকা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি লিখেছেন ‘হ্যাঁ এটা একটি রাজনৈতিক পোস্ট। আমি সশরীরে রাজনীতি না করলেও আমার রক্ত চুপ করে থাকে না।’
তাই নূরের কথায়, ‘অনেকেই হয়তো বলবেন, ক্ষমা মহৎ গুণ। আমি বলব, ১৯৭১-এ যে দেশের (পড়ুন পাকিস্তান) সেনাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশকে পাকপন্থী তৈরি করা, তার জন্য আমাদের দেশের ৩০ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নিতেও তাদের হাত থামেনি, আমি তাদের ক্ষমা করে মহৎ হতে চাই না।’ সেই সাথে পোষ্টটি ডিলিট করবেন না বলে উল্লেখ করে নূর কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন ‘এই পোস্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রীতি এবং দেশাত্মবোধ বোঝানো হয়েছে। এই পোস্টটি করা সাহসের পরিচয় নয়, শিক্ষার পরিচয়। যে শিক্ষা মূল্যবোধ তৈরি করে। তাই পোষ্টটি ডিলিট করব না।’